সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফলগুলোর মধ্যে পেঁপে অন্যতম। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট ও অত্যন্ত কম পরিমাণের চর্বিযুক্ত উপাদান। যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও এনজাইম, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু আমরা প্রায়ই শুনে থাকি এবং বিশ্বাসও করে থাকি যে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের পেঁপে খাওয়া উচিত নয়। কেউ কেউ বলেন, অন্তঃসত্ত্বাদের কাঁচা ও পাকা উভয় ধরনের পেঁপে খাওয়াই নিষিদ্ধ। কেউ আবার
বলেন, পেঁপে খাওয়া একেবারে নিরাপদ। মূলত, গর্ভপাতের ঝুঁকির কারণেই বয়স্করা প্রায়ই গর্ভাবস্থায় পেঁপে না খাওয়ার জন্য সতর্ক করেন। অবশ্য এর কারণ রয়েছে, আমরা দেখেছি পেঁপের থেকে সাদা দুধের মতো তরল পদার্থ বের হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভপাতের কারণের জন্য দায়ী ওই ল্যাটেক্সের মধ্যে থাকা এনজাইমগুলোই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেঁপেতে থাকা ল্যাটেক্স জরায়ুতে সংকোচনের ঝুঁকি তৈরি করে। এই কারণে গর্ভপাত বা অকাল প্রসবের ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়া পেঁপেতে পেপিনও থাকে, যা প্রোটিনকে ভেঙে দেয়। এই কারণে ভ্রƒণের ক্ষতি হতে পারে। তবে এটিও লক্ষণীয়, যদি পেঁপে পাকতে শুরু করে তবে এতে ল্যাটেক্সের পরিমাণ কমে যায়। এই কারণে সপ্তাহে একবার বা দুইবার সীমিত পরিমাণে পাকা পেঁপে খেলে যে কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। তাই কাঁচা পেঁপে খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। তবে পাকা পেঁপে গর্ভাবস্থায় কিছু পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।
কতটা পেঁপে খাবেন
বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেঁপে বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু ২০১৮ সালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, পেঁপে খেলে গর্ভাবস্থার কোনো ক্ষতি হয় না। এ ছাড়া ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) তথ্যানুসারে, গর্ভাবস্থায় যে ফল খাওয়া উচিত তার মধ্যে পেঁপেও অন্তর্ভুক্ত। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁপে খাওয়া একেবারে নিরাপদ। তবে এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। সপ্তাহে এক বা দুইবার পেঁপে খেতে পারেন। তবে পেঁপে খাওয়ার পর অস্বস্তি বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :