যে সব শিশু তাদের বেশির ভাগ সময়ে পোষ্যদের সঙ্গে কাটিয়েছে, তারা অন্যান্য শিশুর তুলনায় খাবার থেকে অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় কম আক্রান্ত হয়েছে।
বাড়ির শিশুদের আশপাশে আসতে দেওয়া হয় না পোষ্যদের। কারণ, অনেকেই মনে করেন, এই পোষ্যদের থেকেই শিশুদের মধ্যে নানা রকম রোগ ছড়ায়। কিন্তু হালের গবেষণা কিন্তু অন্য কথাই বলছে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব শিশু তাদের বেশির ভাগ সময় পোষ্যদের সঙ্গে কাটিয়েছে, তারা অন্য শিশুদের তুলনায় খাবার থেকে অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় কম আক্রান্ত হয়েছে।
জাপানের প্রায় ৬৫ হাজারেরও বেশি শিশুর উপর করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাদের বাড়িতে কুকুর বা বিড়ালের মতো পোষ্য রয়েছে বা যারা ওই পোষ্যদের সঙ্গে খোলামেলা ভাবে বেড়ে উঠতে পারছে, তাদের মধ্যে খাবার থেকে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১৩ থেকে ১৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। গবেষকদের মধ্যে এক জন বলেন, “পোষ্যের সংস্পর্শে এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা অনেকটাই ঠেকিয়ে রাখা যায়।”
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব শিশু বিড়ালের সংস্পর্শে তাদের ছোটবেলা কাটিয়েছে, তাদের ডিম, সয়াবিন এবং গম থেকে তৈরি খাবার খেয়ে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। আবার শিশুদের ডিম, দুধ এবং বাদাম থেকে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দিতে পারে বাড়িতে থাকা পোষ্য কুকুর। যদিও পাখি কিংবা কচ্ছপের সঙ্গে এই সংক্রান্ত অ্যালার্জির কোনও সম্পর্ক নেই।
গবেষকদের মতে, খাবারের সঙ্গে পোষ্যের সরাসরি কোনও যোগ আছে কি না, সে বিষয়ে বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন। তবে পোষ্যেরা পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভাবে শিশুদের অন্ত্রের কার্যক্ষমতাকে শক্তিশালী করে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। অন্ত্রে থাকা মাইক্রোবায়োম ব্যাক্টেরিয়াগুলি শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। যার ফলে অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
আপঅ
আপনার মতামত লিখুন :