দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জনপ্রিয় ফলের মধ্যে অন্যতম কাঁঠাল৷ আর বাংলাদেশে তো এটি জাতীয় ফল। পাকলে মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি কাঁচা অবস্থায় রান্না করেও খাওয়া যায়৷ রান্না করা কাঁচা কাঁঠালের স্বাদ অনেকটা মাংসের মতো৷ কাঁঠাল ব্যবহার করে গবেষণাগারে ভেজিটেবল মিট, চিপস, আচার, জেলি, আইসক্রিম, কেকসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য তৈরি হচ্ছে। এছাড়া কাঁঠালের বার্গারও বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কাঁঠাল কাঁচা এবং পাকা দুইভাবেই খাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল বলুন কিংবা এঁচোড়, এর তরকারির ভক্ত অনেকেই। সবজি হিসেবে খাওয়া যায় এই ফল। কাঁঠালে থাকে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা রকমের পুষ্টি এবং খনিজ উপাদান। যা আমাদের শরীর সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে কাঁঠাল। এটি দিয়ে উপাদেয় অনেক খাবার তৈরি করা যায়। এছাড়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কাঁচা কাঁঠাল খুবই উপকারী। পাকা কাঁঠালের মতোই কাঁচা কাঁঠালের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
জেনে নিন কাঁচা কাঁঠালের বার্গারের রেসিপি-
কাঁচা কাঁঠালের বার্গার : তৈরীর উপকরণের মধ্যে রয়েছে; কাঁচা কাঁঠাল-৩ কাপ, আদা বাটা-১ চা চামচ, রসুন বাটা-১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া- ১ চা চামচ, বেসন-২ টেবিল চামচ, টমেটোর সস-২ টেবিল চামচ, সয়া সস-১ টেবিল চামচ, ডিম- ১টি, গোল মরিচের গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ, ব্রেডক্রাম- ২ টেবিল চামচ, তেল ভাজার জন্য ও লবন পরিমানমতো।
প্রস্তুত প্রণালী : প্রথমে কাঁঠাল সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে বেটে নিতে হবে। এরপর বেটে রাখা কাঁঠালের সঙ্গে তেল বাদে সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর চুলায় ফ্রাইপ্যান বসিয়ে ২ টেবিল চামচ তেল দিতে হবে। তেল গরম হলে পেটিগুলো ভেজে নিতে হবে। বেশি তেল দেওয়া যাবে না। অল্প অল্প করে তেল দিয়ে ভাজতে হবে। এই ফাঁকে বার্গারের বনটি মাঝখানে পাশ দিয়ে কেটে একটু সেকে নিতে হবে। বনের নিচের অংশ সস মেখে বার্গারের পেটি বসিয়ে দিতে হবে। পেটির ওপরে টমেটো, শসা দিয়ে ওপরে আর একটু সস দিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল মজাদার কাঁঠালের বার্গার।
সস তৈরী : গুঁড়ো দুধ-১ টেবিল চামচ, টমেটোর সস-৩ টেবিল চামচ, মেয়োনেজ-২ টেবিল চামচ, চিনি-১ টেবিল চামচ, সরিষার তেল- আধা টেবিল চামচ। সব উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এই সসটি বার্গারের স্বাদ অনেকটা বাড়িয়ে দেবে।
জেড/বা
আপনার মতামত লিখুন :