শহিদুল ইসলাম, (সিলেট প্রতিনিধি) :
সিলেট নগরীর ধোপাদিঘী সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছে সিটি করপোরেশন (সিসিক)। প্রতিদিন এই ওয়াকওয়েতে হাঁটতে ও ঘুরতে যান নগরবাসী। তবে সচেতনতার অভাবে অনেকেই ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখেন সেখানে।
এসব ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে নেমেছিলেন সিসিকের চার কাউন্সিলর। সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের এক নেতা।
তাঁরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিসিকের প্যানেল মেয়র তৌফিক বক্স লিপন, কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক, সাইফুল আমিন বাকের ও তৌফিকুল হাদী।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাঁরা এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালান।
জানা গেছে, সিসিকের চার কাউন্সিলর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেন। পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন মিসবাহ সিরাজ।
মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানান, সিসিক কাউন্সিলরবৃন্দ নিজেরা এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের কার্যক্রম আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমিও তাদের সাথে এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করি।
সিসিকের প্যানেল মেয়র তৌফিক বক্স লিপন বলেন, সিলেট আমার ঘর, আঙিনা এ নগর আমার, আমাদের। নিজের ঘর, আঙিনা যেমন-তেমনি আমার সিলেট নগর। তাই চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমারই। পৃথিবীর তাবৎ সুন্দর দেশ, নগর নাগরিকরাই সুন্দর রাখে। আমি কেন রাখব না? আমি কিংবা আমরা কেবল কারো ওপর দায় চাপাব না। এই পূন্যভূমির গর্বিত বাসিন্দা হিসেবে আধুনিক নগরায়নে আমিই-তো এগিয়ে আসব প্রথমে। সিলেট প্রথম, সিলেট আমার ভালোবাসা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের নাগরিকদের সেবক হিসেবে আমরা কাউন্সিলরা এই কাজে হাত লাগাতে হবে প্রথমে। তাই আমাদের শুরুটা হলো ধোপাদিঘির পারের ওয়াকওয়ে দিয়ে।
এই বার্তা পৌঁছে দিন সবার মাঝে। আধ্যাত্মিক রাজধানী ও পর্যটন নগর সিলেট হোক বাংলাদেশের আদর্শ প্রত্যয়।
এদিকে, তাঁদের এই কর্মকাণ্ডকে ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন নগরবাসী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের ছবি দিয়ে অনেকেই প্রশংসা করছেন। জনপ্রতিনিধিদের ইতিবাচক কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন তারা।
সিসিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ জুন ধোপাদিঘী ওয়াকওয়ে উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ও সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
আপনার মতামত লিখুন :