রাজশাহীতে প্রদর্শিত হলো ‘পাওয়ার অফ উইমেন’


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : মে ৩১, ২০২৩ । ১১:৫১ অপরাহ্ণ
রাজশাহীতে প্রদর্শিত হলো ‘পাওয়ার অফ উইমেন’

মোঃ মানিক হোসেন : বাংলাদেশে সাংবাদিকতা অনেক প্রসারিত হয়েছে। তবে, পুরুষের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ নিতান্তই কম। মাঠে ঘাটে সংবাদ সংগ্রহের চ্যালেঞ্জিং পেশায় সাহস নিয়ে আসলেও নানা বাধার মুখে কেউ কেউ টিকতে পারেননি। নারী সাংবাদিকতায় অনুপ্রেরণা যোগাতে। ড্রিম মেকিং প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে নারী সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কিত একটি নাটক। নাটকটির নাম ‘পাওয়ার অফ উইমেন’।

গত মঙ্গলবার (৩০ মে) রাজশাহীর লালন শাহ মঞ্চে (মুক্তমঞ্চ) নাটকটি প্রদর্শিত হয়। যে নাটকটি রাজশাহীর প্রোডাকশন হাউজ, নির্মাতা ও একঝাঁক নতুন এবং পুরাতন শিল্পীদের সমন্বয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।

নাটকটি প্রদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন, আরটিভি’র রাজশাহী প্রতিনিধি মুস্তাফিজ রকি, যমুনা টেলিভিশন’র প্রতিনিধি তারেক মাহমুদ, বাংলার জনপদের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও রাজশাহী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, জ্যৈষ্ঠ প্রতিবেদক ও নারী সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টের রাজশাহী প্রতিবেদক ও নারী সাংবাদিক আফসানা মিমিসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।

‘পাওয়ার অফ উইমেন’ গল্পটি নির্মাণ করা হয়েছে নারী সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা নিয়ে। গল্পটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনয় শিল্পী মাহিরা মাহি, কারাগার ওয়েব সিরিজের অভিনেতা তাওফিক সোহেল, মায়ের চরিত্রে ছিলেন শিমা খাতুনসহ উত্তরাঞ্চলের নাট্য অভিনেতারা।

গল্পটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন উদীয়মান চলচ্চিত্র নির্মাতা এএইচ রাজীব, চিত্রায়ণ করেছেন সিনেমাটোগ্রাফার শাহরিয়ার চয়ন।

গল্পটি নিয়ে নির্মাতা এ এইচ রাজীব বলেন, নারী সাংবাদিকদের প্রতি আমাদের সমাজের একটা বড় ধরণের অনীহা এখনো আছে, আমি এই গল্পটিতে সেটিই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমাদের এই উত্তরবঙ্গে ভাল কাজ উপহার দেওয়ার মতো অনেক শিল্পী ও নির্মাতা রয়েছেন। শুধু তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এক সময় তাঁদের অনিহা চলে আসে এবং কাজ ছেড়ে দেয়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করা উচিত।

নারীদের সাংবাদিকতায় আসার পেছনে অনীহা সম্পর্কে আরটিভি’র প্রতিনিধি মুস্তাফিজ রকি বলেন, নাটকটি আসলেই প্রশংসার দাবি রাখে। এমন নাটকের অনুপ্রেরণায় সাংবাদিকতার নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারী সাংবাদিকরাও নিজেদের প্রস্তুত করে নিতে পারবে। নারী সাংবাদিকতায় কর্তৃপক্ষ ও সহকর্মীদের একটু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন বোঝানো হয়েছে। নারী যাতে নিরাপদ পরিবেশ পায় সে বিষয়টিতে দৃষ্টি দেয়ার বিষয় উঠে এসেছে। এই নাটকটি একজন নারী সাংবাদিককে শত ঝড়-ঝঞ্ঝা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করবে।

পুরোনো সংখ্যা

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
%d bloggers like this: