(১৪ মে) দুপুর ১টার দিকে প্রচণ্ড আকারে সেন্ট মার্টিন-টেকনাফসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখা তাণ্ডব চালায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানা গেছে।
সেন্ট মার্টিন বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র ভয়াবহতায় আমাদের ঘরবাড়ি টিন উড়ে গেছে, গাছপালা পড়ে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ছে। আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে এখন সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছি। এখনো হালকা বাতাস আর বৃষ্টি হচ্ছে।
বাহারছড়া উপকূল ইউনিয়নের মো. জুবায়ের ইসলাম জুয়েল বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা’য় দ্রুতগতিতে আমাদের ওপর দিয়ে বয়ে গেলেও আল্লাহর রহমতে আমরা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছি। তবে আমাদের এখানে রাস্তায় গাছপালা ভেঙে পড়ছে। বাড়িতে গাছ পড়ছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি নুরুল আমিন বলেন, বাতাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পের বসতির ওপরের ছাউনি উড়ে গেছে। পরিবারের লোকজনসহ আমরা নিরাপদে থাকার কারণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির থেকে রক্ষা পেয়েছি। এখন এখানে শতশত বসতি লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে রাস্তা ঘাটের ভেঙে পড়ছে গাছপালা, ভেঙে শতাধিকের ওপরে ঘরবাড়িসহ স্কুল-মাদ্রাসা ভেঙে পড়ছে। এখনো ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাব কমে গেছে। হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। যারা ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে তাদের সহযোগিতা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে সেন্ট মার্টিন ও টেকনাফ হয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা’র মিয়ানমারের দিক অতিক্রম করে গেছে। সেন্ট মার্টিন-টেকনাফ ও রোহিঙ্গাসহ উপকূলে অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। পাশাপাশি রাস্তায় গাছপালাসহ বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ছে। আমরা সব খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেছি।
আপনার মতামত লিখুন :