দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা হয়েছে।
মামলায় মতিউর রহমান ছাড়াও প্রথম আলোর সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস ও তার ক্যামেরাম্যানকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
বুধবার দিবাগত রাতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান বাসসকে জানিয়েছেন, রমনা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আবু আনছারকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আইনজীবী আবদুল মালেক সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক সাংবাদিক শামসুজ্জামান ও ক্যামেরাম্যানের বিরুদ্ধে আমি বাদি হয়ে একটি এজাহার করেছি।’
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত ১১টা ১০ মিনিটে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তরা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি করা হয়।
এরআগে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে স্বাধীনতা দিবসে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে ঢাকার কল্যাণপুরের বাসিন্দা সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া বাদি হয়ে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় স্বাধীনতা নিয়ে জনমনে ‘অস্থিতিশীল ও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি’ তৈরি করার অভিযোগ আনা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :