জাতীয় পরিবেশ পদক প্রদানের জন্য তিন জন ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার এবং পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অসামান্য অবদান রাখায় এই পদকের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিবেশ পদক, ২০২২ চূড়ান্ত মনোনয়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে- মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর মো. আব্দুস ছামাদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর এ কে এম মাহবুব হাসানসহ কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার জীবানন্দ রায় এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ঢাকার ধামরাইয়ের ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লি. মনোনীত হয়েছে।
পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর তুহিন ওয়াদুদ (ডক্টর আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান) এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে খুলনার বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস) পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সাতক্ষীরার ঊর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান ডক্টর এস এম মফিজুল ইসলাম পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
জাতীয় পরিবেশ পদক পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাইশ ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজার মূল্য ও অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :