ইসরাইলের অংশগ্রহণের আপত্তির অংশ হিসেবে এ বছরের অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ আয়োজকের স্বত্ব হারিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। বুধবার ইন্দোনেশিয়ার নাম বাতিলের ঘোষনা দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রন সংস্থা।
এক বিবৃতিতে ফিফা কোন ধরনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা না দিয়ে জানিয়েছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কারনে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন আয়োজকের নাম ঘোষনা করা হবে। টুর্নামেন্টের বর্তমান সূচী অপরিবর্তিত থাকবে।’
আগামী ২০ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া ২৪ দলের এই বিশ্বকাপের ড্র শুক্রবার বালিতে অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু নতুন কোন তারিখ নির্ধারন না করে এবং কোন কারন না জানিয়ে ড্র অনুষ্ঠানটি স্থগিত করে ফিফা।
ইন্দোনেশিয়া ও ইসরাইলের মধ্যে কোন ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বিশ্বের সর্বাধিক মুসলমান অধ্যুসিত ইন্দোনেশিয়ায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি রয়েছে ব্যাপক জনসমর্থন। যার ফলে ইসরাইলিদের আতিথেয়তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে স্থানীয়রা।
বালির মেয়র টুর্নামেন্টে ইসরাইলের অংশগ্রহণের ব্যপারে মত দেবার সাথে সাথে প্রতিবাদস্বরুপ হাজারো রক্ষনশীল মুসলিম বিক্ষোভকারী রাজধানী জাকার্তায় মিছিল করেছে। এ সপ্তাহের শুরুতে ইন্দোনেশিয়ান কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছিলেন এই টুর্ণামেন্ট আয়োজন করতে না পারলে তা বিশ্বকাপ বাছাই ও এশিয়ান কাপের মত অপর আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের ক্ষেত্রে বাঁধার সৃষ্টি করবে। একইসাথে বিশ্বকাপ আয়োজনে ব্যর্থ হলে প্রায় ৬৬ মিলিয়নেরও বেশী মার্কিন ডলার আর্থিক ক্ষতি হবে।
১৯৭৯ সালের পর থেকে অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের খেলার যোগ্যতা অর্জণ করতে পারেনি ইন্দোনেশিয়া। স্বাগতিক হিসেবে এবার তারা সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছিল। এখন নতুন আয়োজকের নাম ঘোষনার সাথে সাথে তাদের অংশগ্রহনও বাতিল হয়ে গেল। দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় এশিয়ান দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে এটাই ফুটবলের প্রথম কোন বড় আসর ছিল।
গত বছর অক্টোবরে পূর্ব জাভায় স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে ১৩৫ জন নিহত হবার পরেও স্বাগতিক হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার নাম টিকে ছিল। ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম বড় দূর্ঘটনা হিসেবে এটি বিবেচিত হয়েছে।
গত বছর ইউরোপীয়ান অনুর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়ে রানার্স-আপ হওয়া ইসরাইল এই প্রথমবারের মত অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :