মোঃ মানিক হোসেন, রাজশাহী প্রতিনিধি :
বাঁচার আশা সাংস্কৃতিক সংগঠন রাজশাহীর জনবহুল জায়গাগুলোতে পথ নাটকের মাধ্যমে সমাজে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের শোচনীয় ও দুর্বিষহ জীবন যাপনের কথা তুলে ধরছেন। সমাজে তাঁদের মানবিক অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশে পিছিয়ে না থেকে সকলকে বৈষম্যহীন দক্ষ জনশক্তিতে পরিনত হওয়ার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
বুধবার (২৫ জানুয়ারী) নগরীর মিন্টু চত্বরে অবস্থিত বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের সামনে পরিবেশিত পথ নাটক শেষে স্মার্ট বাংলাদেশের প্রবক্তা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনের কথা জানাচ্ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা সরকার বিজলী।
পথ নাটকটি কারও কাছে উপহাস ঠাট্টার হলেও অনেকের মনে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের প্রতি বা সন্তানের প্রতি সমাজের মানুষের ক্ষোভ, আক্ষেপ ও আফসোসের চিত্র দাগ কেটে যাচ্ছিলো।
ফারজানা নামের এক শিক্ষার্থী বলছিলেন, হিজড়ারাও সমাজের অংশ। তাঁরা সমাজের উন্নয়নে পরিবারের সদস্য হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার রাখে। কেন তাঁরা সুযোগ সুবিধাবিহীন থাকবেন? কেন তাঁদের পিছিয়ে রাখা হবে? তাঁদেরকে কেনো লাঞ্ছিত করা হয়? তারা কেন বাবা মা ভাই বোন ছাড়া থাকবে?
পথ নাটকে অভিনয় করেন আলতা চরিত্রে বিশু মন্ডল, আজাদ চাচা চরিত্রে আতিক খান, নাচনী ওয়ালী চরিত্রে নূর ইসলাম, সাগর চরিত্রে মাধুরী, সহযোগী হিসেবে তুজাম্মেল হক, সাগরের বাবা চরিত্রে জেকের আলী, সাগরের বোনের চরিত্রে লিমা, ঢোলে ছিলেন রফিক ও সঙ্গী ছিলেন ফায়সাল।
মোস্তফা সরকার বিজলীর পরিচালনায় লক্ষীপুর মোড়, মুক্তমঞ্চ (লালন শাহ মঞ্চ) পথনাটক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাটকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের বার্তা দিচ্ছেন। সেই সাথে জনসভা সফল করতে মূলত পথনাটক করছেন বলে জানিয়েছেন।
মোস্তফা সরকার বিজলী বলেন, সমাজ আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয়, এখনো প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা বৈষম্যের শিকার। সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এখনও অনেক পরিবর্তন করা বাকি। দেশনেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারায় আমরা এখন অনেক উন্নত হয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক চাহিদা পূরণ আবশ্যক। যাতে আমরাও কর্মক্ষেত্রে সম অধিকার নিয়ে কাজ করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন শহর ও গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ২ থেকে ৩ বার পথ নাটক করছি। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে জনসভা সফল করতে সকলকে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :