নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্বাস আলী নোটিশ বিহীন ও জোরপূর্বক অভিযান পরিচালনা করেছেন। উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকলেও নোটিশ ছাড়াই স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এমন অভিযোগ জানিয়েছে স্থানীয়রা।
মার্কেটটির কর্মচারী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন স্থাবর সম্পত্তিটি থেকে ২ফিট জায়গা পাবে। অথচ, বিনা নোটিশে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ২টায় রাসিকের ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিনের উপস্থিতিতে সম্পূর্ণ স্থাপনাটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ও স্থাপনাটির মালিকানাদাবীকারী মোহাম্মদ টনি জানান, গত সিটি নির্বাচনে বর্তমান কাউন্সিলর মো: আব্বাস আলী সরদারের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহন করি। নির্বাচনে অংশগ্রহণকে তীর্যক দৃষ্টিতে নেয় বর্তমান কাউন্সিলর আব্বাস আলী সরদার। তার দাম্ভীকতা ও ব্যাক্তিগত শত্রুতার জেরে আমার স্থাবর সম্পত্তিকে রাসিকের জমি হিসেবে দাবী করা হচ্ছে৷ তবে, এই সম্পত্তিটির উপর এখনো উচ্চ আদালতে মামলা চলছে৷ সম্পত্তিটির ছোট একটি অংশ সিটি কর্পোরেশন পাবে কিন্তু তাই বলে পুরো মার্কেটটি ভেঙ্গে দেওয়ায় এখানে কর্ম করা ২০টি পরিবার এখন অসহায়ত্বের শিকার।
দোকান মালিকরা জানান, জায়গাটি তাদের বাপ-দাদার ও সম্পত্তির দলিলপত্র সব কিছুই সঠিক এবং তাদের কাছেই রয়েছে। কাউন্সিলর আব্বাস তার জনপ্রতিনিধি হওয়ার শক্তি খাটিয়ে আমাদের হেনস্তা করার জন্য উচ্ছেদ করানোয় উঠে-পরে লেগেছে।
এদিকে কাউন্সিলর আব্বাস আলী সরদার বলছেন, জায়গাটি সিটি করপোরেশনের। তারা নকল দলীল তৈরি করে জায়গা দখল করে রেখেছে। আমার সাথে টনির কোনো শক্রতা নেই৷
বিগত দিন গুলোতে সিটি করপোরেশনের এই কার্যক্রম গুলো গণমাধ্যমকর্মীরা তুলে ধরে। তবে, এবারে রাসিকের এই উচ্ছেদ অভিযানের সংবাদ সংগ্রহে গেলে গণমাধ্যম কর্মীদের বাধা প্রদান করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন ও ১০নং ওর্য়াড কাউন্সিলর আব্বাস আলী সরদার৷
রাসিকের এই উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে, কাঁচ ঢাকা গাড়ীর অভ্যন্তরে অবস্থান করে গনমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে যান ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন।
আপনার মতামত লিখুন :