সর্বশেষ :

স্ত্রী নিখোঁজ, স্বামীর অভিযোগ আমলে নেননি ডোমার থানার এসআই


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৫, ২০২৪ । ১:০১ অপরাহ্ণ
স্ত্রী নিখোঁজ, স্বামীর অভিযোগ আমলে নেননি ডোমার থানার এসআই

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে টাকা না দেয়ায় স্ত্রী নিখোঁজের অভিযোগ আমলে নেয়নি ডোমার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. রোস্তম আলী। এ নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ডোমার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিখোঁজ মহিলার স্বামী।

নিখোঁজ মহিলার স্বামী ডোমার সদর ইউনিয়নের চিকনমাটি, ভাদুমুন্সিপাড়া এলাকার মোকাদ্দেস আলীর ছেলে মো. ফারুক (২৮)। পেশায় তিনি একজন শ্রমিক।

অভিযোগে ফারুক উল্লেখ করেন, ‘আমার নিজ বাড়ি হতে কোনো ধরনের পারিবারিক কলহ না হওয়া সত্ত্বেও হঠাত করেই নিখোঁজ হয়ে যায়। আমার আত্মীয় স্বজন ও শশুড়বাড়িতে খোঁজাখুঁজির পর খোঁজ না পাওয়ায় ঘটনার পরের দিন গত ১৩ মার্চ ডোমার থানা পুলিশের দ্বারস্থ হই। এরপর ডোমার থানার এসআই মোঃ রোস্তম আলী এর পরামর্শে স্ত্রী নিখোঁজ হবার একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দেয়ার পর এসআই রোস্তম আলী আমাকে নানাভাবে হয়রানী করতে থাকে এবং বেশ কয়েকবার টাকা দাবি করেন। এভাবে ১ মাস অতিবাহিত হবার পর আমার দায়ের করা অভিযোগের কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেনি ওই এসআই। এতোদিনে অভিযোগের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ ১৬ এপ্রিল ২৪ ইং তারিখ রাতে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ শোনার পর সাধারন ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়। আমি বিলম্ব না করে সাধারন ডায়েরি করি, জিডি নং- ৭১২ । পরের দিন আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২ টায় আবারো এসআই রোস্তম আলী আমার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে ডোমার উপজেলা পরিষদ বাজারে সাক্ষাত করেন। সাধারন ডায়েরী তদন্ত করবেন বলে আমাকে আবারো ১ হাজার টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সে সময়ে আমার কাছে টাকা না থাকায় আমি তার নিকট সময় চাইলে তিনি আমার উপর চড়াও হয়ে বলেন আপনার বিষয়ে এরপর থেকে আমি আর যোগাযোগ করবো না ও এ বিষয়ে আমাকে পরবর্তীতে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেন।’

ফারুখ জানান, প্রায় দেড় মাস ধরে স্ত্রীর সন্ধান না পাওয়ায় আমি ও আমার পরিবার আমার তিন বাচ্চাকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছি। এসআই রোস্তম আমাকে এক মাসের বেশী সময় ধরে হয়রানি করিয়েছে। পুলিশের এমন আচরনের কারনে আমি বিভিন্নভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত। ডোমার সার্কেলের কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেছি।

অভিযোগের ব্যাপারে এসআই রোস্তম আলী জানান, মামলাটি এসআই কাজলে কাছে আছে। তার কাছে কোনো টাকা চাওয়া হয়নি। তারা কয়েকজন মিলে পরিকল্পিত ভাবে ফাসাচ্ছেন।

অভিযোগে বিষয়ে জানতে চাইলে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসীন আলী জানান, এখন ব্যস্ত আছি কথা বলার সময় হাতে এখন নেই। বিষয়টি নিয়ে কয়েকজনের সাথে আলোচনা হচ্ছে।

ডোমার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী আব্দুল্লাহ জানান, কোনো ধরণের অভিযোগ আসেনি, আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

পুরোনো সংখ্যা

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
%d bloggers like this: