সর্বশেষ :

সাংবাদিক আটকে ক্ষমা চাইলেন রাজশাহী মহানগর ডিবি পুলিশের এডিসি


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৩, ২০২৪ । ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ
সাংবাদিক আটকে ক্ষমা চাইলেন রাজশাহী মহানগর ডিবি পুলিশের এডিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী আদালত চত্বরে অভিযান পরিচালনা করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (আরএমপি ডিবি) বেলা ১১টায়। অভিযানে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে ডিবি পুলিশের ওই অভিযানকারী দল। সে সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা গ্রেফতারকৃতদের ছবি তুলতে গেলে তাঁদেরকেও লাঞ্চিত করে এবং আটক।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় এমন ঘটনায় রাজশাহীর সাংবাদিকরা ডিবি কার্যালয় ঘেরাও করলে ক্ষমা চেয়ে সাংবাদিকদের ছেড়ে দেন।

আটককৃত সাংবাদিকরা হলেন, রাজশাহীর বহুল প্রচলিত দৈনিক সানশাইন পত্রিকার কোর্ট প্রতিনিধি ও রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সদস্য রহমতুল্লাহ, জাতীয় দৈনিক বর্তমান পত্রিকার আজগর আলী সাগর, দোয়েল টিভি’র সুমন।

এডিসি রুহুল আমিনের নেতৃত্বে আদালত চত্বরে ডিবি পুলিশের অভিযান পরিচালিত হয়। ছবি তোলার অভিযোগে এডিসি রুহুল আমিনের নির্দেশে সাংবাদিকদের আটক করা হয়।

পরে অন্যান্য সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে পারলে তাঁরা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।

সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা সে সময় কথা বলতে চাইলে এডিসি রুহুল আমিন তাঁদের সঙ্গেও খারাপ আচারণ করেন। বিষয়টি জানাতে গোয়েন্দা পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আরিফুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বাধ্য হয়ে সকল সাংবাদিক ডিবি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। প্রায় ১ ঘন্টা পরে এডিসি রুহুল আমিন সাংবাদিকদের সামনে এসে ভুলবোঝাবুঝি বলে ওই আটক তিন সাংবাদিককে ছেড়ে দেন। তিনি এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেন।

আটককৃত সাংবাদিকরা বের হয়ে বলেন, তাঁরা পেশাগত কাজ করতে গিয়ে ডিবি পুলিশের রোষানলে পড়েন। ছবি তোলায় তাদের অপরাধ বলে তাদের গালাগালি ও মারধার করে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পেশাগত কাজে বাধা প্রদানসহ ওই পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেন তারা।

এডিসি রুহুল আমিন বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে। ছবি তোলা মানেই সরকারি কাজে বাধা প্রদান। এসময় তিনি সাংবাদিকরা আইডি কার্ড দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ তুলেন। প্রকৃত পক্ষে আটক সকল সাংবাদিকদের কাছে কার্ড ছিলো। তবুও ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি তাঁদের গ্রেফতার করেছেন বলে অভিমত সাংবাদিক সমাজের।

ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচিস্থলে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব, রাজশাহী অনলাইন সাংবাদিক ফোরাম, পদ্মা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।

এসময় সাংবাদিক নেতারা বলেন, এডিসি রুহুল সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।  এক মাঘেও শীত যায় না বলেও তিনি হুশিয়ারি দেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিকভাবে আলোচনা করে উর্ধতন কর্মকর্তাদের লিখিত অভিযোগ প্রদান করবো। এছাড়াও গোয়েন্দা বিভাগের অপকর্ম আমরা এখন থেকে তুলে ধরবো। তাঁরা কোথায় থেকে মাসোহারা নেয় সেটা আমাদের সকলের জানা বলে উল্লেখ্য করেন নেতারা।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই আটক বানিজ্যের শীর্ষে আছেন রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আটকের পর কেউ ডিবি অফিসে প্রবেশ করতে পারে না। গণমাধ্যম কর্মীসহ সকলের প্রবেশ নিষেধ ডিবি কার্যালয়ে। আরএমপিতে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত ও সমালচিত কিছু এসআই, পরিদর্শক মিলে মাসোহারা বানিজ্যে লিপ্ত তাঁরা। প্রতিটি মাদক স্পর্ট, দেহ ব্যবসার আবাসিক হোটেল, জুয়ার আসর থেকে মাসোহারা উত্তোলন করছেন কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা।

পুরোনো সংখ্যা

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
%d bloggers like this: