খুলনায় কনফিডেন্স দারিদ্র্য বিমোচন কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ
শ্রীপুর ধলাদিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও ৫ শতাধিক মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভা ও গুণিজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত
রাজশাহীর তানোরে ৩৫ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া ২ বছরের শিশুকে উদ্ধারের চেষ্টা চলমান
এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা, কে কোন আসনে
অর্থনীতির চাপে আমেরিকানরা, আশাবাদী বার্তা দিচ্ছেন ট্রাম্প
রাজশাহীর দুর্গাপুরের দুই ইউনিয়ন গ্রাম আদালত পরিদর্শন
দুর্গাপুরে বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপনে ‘অদম্য নারীদের’ সম্মাননা প্রদান
দুর্গাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত
টাঙ্গাইলে নিরাপত্তার অভাবে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির বাউল গানের অনুষ্ঠান বাতিল

রবিউল ইসলামঃ রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু একটি গর্ত দিয়ে মাটির ৩৫ ফুট গভীরে পড়ে গেছে সাজিদ হোসেন নামের ২ বছর বয়সী এক শিশু। তার বাবার নাম রাকিবুল ইসলাম। বুধবার দুপুরে উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে। একই সঙ্গে গর্তের ভিতরে দেওয়া হচ্ছে অক্সিজেন।
ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক মানুষ উৎকন্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছে। ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিমসহ এ্যাম্বুলেন্স।
কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন জানান, গ্রামের পাশের এ জমিটির মালিক কছির উদ্দিন নামের এক কৃষক। এক বছর আগে কছির উদ্দিন তার জমিতে সেচের জন্য একটি সেমিডিপ নলকূপ বসানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ৩৫ ফুট বোরিং করার পর সেখানে পানি পাননি। তাই নলকূপ বসানো হয়নি। তবে এক বছর ধরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের গর্তটি সেভাবেই পড়ে ছিল।
দুই বছর বয়সী শিশুটির মা রুনা খাতুন জানান, ওই মাঠে ধানগাছের খড় নিতে যাচ্ছিলাম দুই শিশুকে নিয়ে। এক শিশুকে কোল থেকে নামিয়ে দিই। সে আমার পিছনে পিছনে হাটছিল। পরে পিছনে তাকিয়ে দেখি ছেলে নেই। এর পর দেখি গর্ভের ভিতর থেকে মা মা করে ডাকছে।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস উপ-পরিচালক দিদারুল আলম বলেন, ‘‘প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের তানোর, চাপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী সদর স্টেশনের তিনটি ইউনিট গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে। এর পর ক্যামেরা পাঠিয়ে শিশুটির অবস্থান ৩৫ ফুট নিচে নির্ণয় করা হয়। ফলে শিশুটিকে জীবিত রাখতে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। যেহেতু গর্তের ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু সেহেতু খনন ছাড়া উদ্ধার সম্ভাব নয়। তাই গর্তের পাশে স্কেভেটর দিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা খান বলেন, ঘটনার পর পরই উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিমসহ এ্যাম্বুলেন্স। মাটি খনন যন্ত্রের প্রয়োজন হওয়ায় দ্রুত সেটিও ম্যানেজ করা হয়। শিশুটিকে উদ্ধারে সব ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :