ডিগ্রি পরীক্ষা উপলক্ষে রাজশাহীতে আরএমপির গণবিজ্ঞপ্তি: পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে ২০০ গজে নিষেধাজ্ঞা
রাজশাহীতে আধুনিক ‘লাইফ সাইন হাসপাতাল’ এর শুভ উদ্বোধন-স্বাস্থ্যসেবায় নতুন দিগন্তের সূচনা
রাজশাহীতে ডিবির অভিযানে ১২ গ্রাম হেরোইনসহ নারী গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বিভাগীয় সমাবেশ
রাজশাহীতে আওয়ামী নাশকতা প্রতিরোধে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বিক্ষোভ র্যালি
নাটোরে সাংবাদিকের নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণা, ল্যাব সহকারী অনিকের বিরুদ্ধে মামলা
ব্র্যাকের উদ্যোগে দুর্গাপুরে গবাদিপ্রাণি সুরক্ষা বিমার দাবির অর্থ হস্তান্তর
কাশিয়াডাঙ্গা চেকপোস্টে তিন শত গ্রাম হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
দুর্গাপুরে গ্রাম আদালত প্রকল্প বিকেন্দ্রীয়কৃত পরিবীক্ষণ,পরিদর্শন ও মূল্যায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

মোঃ জাকির হোসেন,
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :
গ্রামীণ খামারিদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্র্যাকের গবাদিপ্রাণি সুরক্ষা বিমা কর্মসূচি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রাজশাহী বিভাগে ইতিমধ্যেই পাঁচটি গরুর বিমা দাবি অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি খামারিদের জীবনে এনেছে নতুন আশার আলো ও আত্মবিশ্বাসের দিগন্ত।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ১২ নভেম্বর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রাণবন্ত বিমা দাবির অর্থ হস্তান্তর অনুষ্ঠান।
২০২৪ সালে ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স উদ্যোগে যাত্রা শুরু করা এই গবাদিপ্রাণি সুরক্ষা বিমা বর্তমানে দেশের ১৪৭১টি শাখায় সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য— খামারিদের বিনিয়োগ ও জীবিকা সুরক্ষিত রাখা, গরুর মৃত্যু, দুর্ঘটনা বা রোগজনিত ক্ষতি থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা।
বিমার আওতায় খামারিরা পান রোগ বা দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ অ্যানথ্রাক্স ফুট অ্যান্ড মাউথ, ও লাম্পি স্কিন রোগের টিকা, বছরে দুইবার কৃমিনাশক প্রয়োগ, এবং বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন সেবা।
এছাড়াও বিমাগ্রহীতারা সহজ শর্তে ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্সের ঋণ সুবিধা ভোগ করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা নূর তানজু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন মোঃ নজরুল ইসলাম এবং ব্র্যাকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ ইয়াকুব আলি সরকার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন —
প্রোগ্রাম ম্যানেজার (প্রগতি) সুকদেব কুমার সাহা,
টিম লিড (কৃষি ও বীমা) মোঃ রেজাউল করিম,
ম্যানেজার (কৃষি ও বীমা) মোঃ তাসভীর আহমেদ,
রিজিওনাল ম্যানেজার মোঃ সেরাজুল ইসলাম,
ডিএসএস (কৃষি ও বীমা) আশরাফুল আলম,
এরিয়া ম্যানেজার মোঃ আশরাফুজ্জামান,
ও এক্সটেনশন অফিসার (ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স) মোঃ তানজিল মোত্তাকিন।
বক্তারা বলেন, ব্র্যাকের এই বিমা উদ্যোগ শুধু ক্ষতিপূরণ প্রদান নয়— বরং এটি গ্রামীণ পশুপালন খাতের স্থিতিশীলতা, খামারিদের আত্মবিশ্বাস এবং দারিদ্র্য বিমোচনের এক বাস্তব উদাহরণ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা নূর তানজু বলেন,
গ্রামীণ পশুপালন আমাদের অর্থনীতির প্রাণভোমরা। ব্র্যাকের এই উদ্যোগ খামারিদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের জীবিকা টিকিয়ে রাখার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন,
এই বিমা শুধু গরুর সুরক্ষা নয়, বরং চিকিৎসা ও টিকাদান ব্যবস্থার মাধ্যমে পশুপালনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রসার ঘটাচ্ছে।
ব্র্যাকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ ইয়াকুব আলি সরকার বলেন,
গবাদিপ্রাণি সুরক্ষা বিমা খামারিদের আর্থিক ঝুঁকি কমাতে বাস্তব সহায়তা দিচ্ছে। গরুর অপ্রত্যাশিত ক্ষতির পরও যেন খামারি পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেন— সেটিই আমাদের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ বিমা দাবির অর্থ আনুষ্ঠানিকভাবে খামারিদের হাতে তুলে দেন।
খামারিরা ব্র্যাকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এটি তাদের জীবনে নতুন আশার আলো জ্বেলেছে— যা ভবিষ্যতে আরও অনেক গ্রামীণ পরিবারকে আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে নেবে।
আপনার মতামত লিখুন :