কোচিংয়ে অগ্রিম কোর্স ফি বাতিল ও মাসিক বেতন নির্ধারণসহ ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন
মানবতার আলোকবর্তিকা ডি এ পারভেজ — ন্যায় ও মানবাধিকারের অগ্রযাত্রী
রাজশাহীতে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
খুলনায় দৈনিক ভোরের দর্পণ অফিসে চুরি, নগদ অর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লোপাট
গাজীপুরে রিভেরি রিসোর্টে অবাধে চলছে নারী ব্যবসা, মাদক ও জুয়ার আসর — এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও রিসোর্ট বন্ধের দাবি
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফা দাবিতে দুর্গাপুরে লিফলেট বিতরণ
ফেসবুকে মানহানিকর ভিডিও প্রচারে দুর্গাপুরে সংবাদ সম্মেলন
টঙ্গী-কালীগঞ্জ হাইওয়ে মেইন রোডে আকিজ ব্রেকার্স বিপরীতে ৪৫০০ স্কয়ারফুট জমি ভাড়ায়
রাবিতে রাকসু নির্বাচন: কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি ঘিরে বিতর্ক
রাজউকের স্টেট শাখায় রহস্যজনক অনিয়ম: বহিষ্কৃত কর্মচারী ‘তন্ময় সরকার’ নামে আবার কর্মরত!

অগ্রিম কোর্স ফি বাতিল করে মাসিক বেতন নির্ধারণসহ ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও ক্যাব ইউথ গ্রুপ। শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজশাহীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া অভিভাবকরা জানান, রাজশাহী শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে প্রাইভেট কোচিং নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে অভিভাবকরা আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন। অধিকাংশ কোচিং সেন্টার মাসিক বেতনের পরিবর্তে কোর্স ফি চালু করেছে, যা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানে বাধা সৃষ্টি করছে এবং অভিভাবকদের ওপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে।
তারা অভিযোগ করেন, অনেক কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষক ও পরিচালকদের মনোযোগ কমে গেছে। টাকার জন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া, এমনকি তিন মাস বা তারও বেশি সময়ের ফি একসাথে নেওয়ার মতো অনিয়ম চলছে। এতে শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কোচিংগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
মানববন্ধন থেকে অভিভাবকরা ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
১. অগ্রিম কোর্স ফি বাতিল করে মাসিক বেতন নির্ধারণ (প্রতি মাসের ১ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধযোগ্য)।
২. প্রতি ব্যাচে শিক্ষার্থীর আসন সংখ্যা নির্ধারণ (জাতীয় মডেল অনুসারে)।
৩. বার্ষিক পরীক্ষার আগে নতুন ভর্তি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা।
৪. প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিয়মিত পাঠদানের নিশ্চয়তা দেওয়া।
৫. টাকার জন্য শিক্ষার্থীদের অপমান বা ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া বন্ধ করা।
৬. কোর্স ফি নামে আগাম তিন মাসের টাকা নেওয়া বন্ধ করা।
৭. প্রতিটি অধ্যায় সম্পন্ন না করে টাইম পাস মূলক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ করা।
৮. শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
৯. ক্লাসরুমে উপযুক্ত বসার ব্যবস্থা করা।
১০. পারিবারিক বা ব্যক্তিগত গল্পে ক্লাসের সময় অপচয় বন্ধ করা।
১১. কোচিং কার্যক্রমে প্রশাসনিক তদারকি বৃদ্ধি করা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রাজশাহী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এনামুল হক, রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলী, জিটিভির রাজশাহী প্রতিনিধি রাশেদ রিপন, জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, গবেষক মো. মতিউর রহমান, ক্যাব রাজশাহীর সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, বরেন্দ্র ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান, ক্যাব ইউথ গ্রুপের সভাপতি মো. জুলফিকার হায়দার এবং অভিভাবক আব্দুল হাকিম, মামুনুর রশিদ ও ওবায়দুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা বাণিজ্য নয়, এটি একটি মানবিক দায়িত্ব। তাই কোচিং সেন্টারগুলোতে শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও ন্যায়সংগত ফি নির্ধারণের জন্য প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :