দীর্ঘ ৩৫বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নতুন সূর্যোদয়ের অপেক্ষা। আগামী রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে এখন এক অন্যরকম উত্তাপ—আনন্দ, প্রত্যাশা ও দায়িত্ববোধের মেলবন্ধন।
আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, “ইনশা আল্লাহ, আমরা এমন একটি নির্বাচন উপহার দিতে চাই, যেখানে স্বচ্ছতার প্রতিটি আলো ছাত্রদের চোখে প্রতিফলিত হবে। তিন দিন নয়, মাত্র ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফল ঘোষণার আশা করছি।”
তিনি আরও জানান, ভোট গণনার পুরো প্রক্রিয়াটি থাকবে উন্মুক্ত ক্যামেরার সামনে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে মানুষ সরাসরি সেই দৃশ্য দেখতে পারবে—যেন গণতন্ত্রের এ উৎসবের প্রতিটি মুহূর্ত হয়ে ওঠে সবার চোখের সামনে এক অনিন্দ্য সাক্ষ্য।
উপাচার্য বলেন, “আমাদের দক্ষ কারিগরি দল প্রস্তুত। যান্ত্রিক ত্রুটি না হলে খুব অল্প সময়েই ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে যন্ত্রের পাশাপাশি হাতে গুনেও ফলাফল মিলিয়ে দেখা হবে।”
রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষার্থীদের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণই এই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। তারা ৩৫ বছর পর এই ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা আরও উজ্জ্বল করছে।”
নিজের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উপাচার্য আরও যোগ করেন, “আমি ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে কোনো প্রার্থীর সঙ্গে ছবি তুলছি না, কারণ আমার দায়িত্ব হচ্ছে একটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশে এখন এক নতুন ভোরের আলো—যেখানে ৩৫ বছরের অপেক্ষা মিলিত হচ্ছে আশার সোনালি সূর্যোদয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :