সর্বশেষ :

রাজশাহীতে অভিজাত ভোজনের নতুন ঠিকানা রয়েল স্যাফরন রেস্টুরেন্ট


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : মে ৩১, ২০২৫ । ৩:০৪ অপরাহ্ণ
রাজশাহীতে অভিজাত ভোজনের নতুন ঠিকানা রয়েল স্যাফরন রেস্টুরেন্ট

মো. মানিক হোসেন : রাজশাহীর খাদ্যপ্রেমীদের জন্য নতুন এক স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রাজকীয় আয়োজনে যাত্রা শুরু করলো ‘রয়েল স্যাফরন রেস্টুরেন্ট’। শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যায়, শহরের অন্যতম অভিজাত আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা রয়েল রাজ হোটেল অ্যান্ড কন্ডোমিনিয়াম-এর প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় এই রেস্টুরেন্টটির।

জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন রাজশাহীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ—ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, শিক্ষক, ব্যাংকার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ অনেকেই। প্রাঙ্গণে পা রাখতেই চোখে পড়ে স্বাগত জানানো হয় আতিথেয়তার আভিজাত্য দিয়ে; সুসজ্জিত পরিবেশ, রুচিশীল আলোকসজ্জা ও লাল গালিচার উপর দিয়ে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।

রয়েল স্যাফরন রেস্টুরেন্টের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে তাদের বৈচিত্র্যময় দেশি ও বিদেশি খাবারের সমন্বয়ে সাজানো বুফে। রেস্টুরেন্টটির মেন্যুতে রয়েছে ভারতীয় বিরিয়ানি থেকে শুরু করে থাই, চাইনিজ, আরবিক এবং কন্টিনেন্টাল আইটেম—যা একজন খাদ্যরসিকের রসনা তৃপ্ত করতে যথেষ্ট। উদ্বোধনের দিনেই অতিথিরা বুফে ঘুরে ঘুরে উপভোগ করেন মশলাদার চিকেন তন্দুরি, সফট নানরুটি, মাটন কারি, ফিশ ফিঙ্গার, স্প্যাগেটি, সিজলিং বিফ স্টেক, ফ্রুট সালাদ, ডেজার্টস ও নানা রকমের ঠাণ্ডা ও গরম পানীয়।

রেস্টুরেন্টের পরিবেশ নিঃসন্দেহে প্রথম নজরেই আকৃষ্ট করে। মৃদু আলো, নরম সুর বাজানো সংগীত, আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ একে রাজশাহীতে একটি অনন্য ভোজনস্থলে পরিণত করেছে। অনেক অতিথিই মন্তব্য করেন, এটি রাজধানীর অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলোর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো একটি স্থান।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. শাহীন আলম বলেন, “আমাদের শহরে এত সুন্দরভাবে পরিকল্পিত, আধুনিক ও মানসম্পন্ন একটি রেস্টুরেন্ট সত্যিই প্রয়োজন ছিল। রয়েল স্যাফরন সেই অভাব পূরণ করবে।”

রয়েল রাজ হোটেল অ্যান্ড কন্ডোমিনিয়ামের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম বলেন, “রয়েল স্যাফরন রেস্টুরেন্ট শুধু একটি খাবারের জায়গা নয়, বরং এটি একটি অভিজাত ভোজন অভিজ্ঞতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। আমরা চেয়েছি, রাজশাহীর মানুষ যেন ঢাকার মতো উন্নত, পরিপাটি ও স্ট্যান্ডার্ড পরিবেশে খাবার উপভোগ করতে পারেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা মানসম্মত খাবার ও আধুনিক পরিবেশ নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি, এই রেস্টুরেন্ট অল্প সময়ের মধ্যেই রাজশাহীর অন্যতম প্রিয় গন্তব্যে পরিণত হবে।”

রয়েল স্যাফরন রেস্টুরেন্টে রয়েছে কর্পোরেট মিটিং ও পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। ৫০ থেকে ২০০ জনের জন্য একাধিক পার্টি হোল ও প্রাইভেট বুথ রাখা হয়েছে, যাতে করে জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, অফিস গেট-টুগেদার কিংবা ছোটখাটো অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায় ঝামেলাবিহীনভাবে।

রেস্টুরেন্টটির ব্যবস্থাপক জানান, “আমাদের কিচেন স্টাফ ও হসপিটালিটি টিম ঢাকার নামীদামী রেস্টুরেন্টে অভিজ্ঞতা অর্জন করে এসেছেন। তাই অতিথিদের সেবা দিতে আমরা সবসময় প্রস্তুত।”

উদ্বোধনের পর থেকেই স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে রেস্টুরেন্টটির ছবি ও ভিডিও। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে অতিথিদের ইতিবাচক মন্তব্য ও চেক-ইন ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে। উদ্যোক্তারা আশা করছেন, খুব শিগগিরই এটি রাজশাহীর অন্যতম জনপ্রিয় খাবারের গন্তব্যে পরিণত হবে।

একজন অতিথি বলেন, “রাজশাহীতে এতোটা প্রিমিয়াম ফিল নিয়ে রেস্টুরেন্ট খুব একটা ছিল না। রয়েল স্যাফরন নিশ্চয়ই নতুন এক মাইলফলক তৈরি করবে।”

রয়েল স্যাফরন রেস্টুরেন্ট শুধুমাত্র একটি খাবারের স্থান নয়, বরং এটি রাজশাহীর খাদ্যসংস্কৃতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। শহরের দিনবদলের ধারায় এটি হতে পারে খাবারপ্রেমীদের নতুন মিলনমেলা। খাবারের মান, পরিবেশ, এবং সেবার মান বজায় থাকলে খুব অল্প সময়েই এই রেস্টুরেন্টটি রাজশাহীর হিট লিস্টে জায়গা করে নেবে—এমনটাই আশা করছেন খাদ্যরসিকরা।

পুরোনো সংখ্যা

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
%d bloggers like this: