রাজশাহীর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর আয়োজনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কায়সার রহমান মেমোরিয়াল অডিটোরিয়ামে বুধবার অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির ও রাজশাহী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, “যদি কুরআনের আলোকে জীবন গঠন করা যায়, তাহলে প্রতিটি মানুষের জীবন সুখ ও শান্তিতে ভরে উঠবে।”
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “২৪-এর ছাত্র আন্দোলনের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের এক নতুন পরিবর্তন এসেছে। এবার একটি স্লোগান শুরু হয়েছে—সব দেখা শেষ, এবার হবে কুরআনের বাংলাদেশ।”
তিনি আরও বলেন, “কুরআন শুধু ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, এটি জীবনবিধান। যদি আমরা ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে কুরআনের শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে আমাদের দেশ হবে সত্যিকারের শান্তি ও কল্যাণের বাংলাদেশ।”
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম। তিনি বলেন, “রমজান আমাদের শুধু সিয়াম সাধনার শিক্ষা দেয় না, এটি আমাদের চরিত্র গঠনেরও পথপ্রদর্শক। রোজার মাধ্যমে আমরা ধৈর্য, সহমর্মিতা ও আত্মসংযমের শিক্ষা গ্রহণ করি, যা আমাদের সামাজিক ও নৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হয়।”
বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “ডাক্তারদের শুধু রোগ নিরাময় করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, বরং আমাদের সমাজের নৈতিক মূল্যবোধ উন্নত করার দায়িত্বও নিতে হবে।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনডিএফ-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, রাজশাহী জেলা সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সঞ্চালক ডা. মসিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফয়সল আলম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর রাজশাহী জেলা সভাপতি প্রফেসর ওয়াসিম হোসেনসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
রমজান কেবল ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি আত্মশুদ্ধি ও নৈতিক শিক্ষা অর্জনের অনন্য সুযোগ। কুরআনের শিক্ষাকে জীবনের প্রতিটি স্তরে বাস্তবায়ন করতে পারলে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে সুখ ও শান্তি নিশ্চিত হবে। এই বার্তাই তুলে ধরা হয় রাজশাহীর এই আলোচনায়। সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় কুরআনের আলোকে পথ চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা।
আপনার মতামত লিখুন :