দুর্গাপুর প্রতিনিধি : রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাচনী কাজের জন্য ভোটারদের নথি সংশোধন, নতুন ভোটার নিবন্ধন এবং অন্যান্য পরিষেবা নিতে নির্বাচন অফিসে আসা সাধারণ মানুষকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। নির্বাচনী সেবা নিতে আসা নাগরিকদের অভিযোগ, অপ্রতুল জনবল, সেবা প্রদান ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং অব্যবস্থাপনার কারণে দিনের পর দিন তারা সেবা পাচ্ছেন না।
দুর্গাপুর নির্বাচনী অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটারদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনেকেই জানিয়েছেন, তারা কয়েক ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও তাদের কাজ শেষ করতে পারছেন না। নির্বাচন মিশনের অধীনে কাজ করা এসব অফিসে জনবল সংকট এবং সেবা প্রদান ব্যবস্থায় ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে।
মো. মাইনুল ইসলাম যিনি ভোটার নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন অফিসে এসেছিলেন, বলেন, “আমি গত সপ্তাহে এসেছিলাম, কিন্তু দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও কাজ হয়নি। আজ আবার আসলাম, কিন্তু এখনো কোনো সেবা পাচ্ছি না।”
অন্যদিকে, কাজল রেখা যিনি ভোটার তথ্য সংশোধনের জন্য এসেছিলেন, বলেন, “কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও কোনো সঠিক উত্তর পাচ্ছি না। অফিসে জনবল কম, এবং কর্মীদের মধ্যে তেমন কোনো তৎপরতা নেই।”
এছাড়া, অনেকের অভিযোগ, অফিসের কর্মীরা তাদের সঠিকভাবে গাইড করেন না এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। কিছু জায়গায়, অফিসের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর এবং সেবা পেতে নাগরিকদের একধরনের অবহেলিত অবস্থায় পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয় নির্বাচন অফিসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, “আমরা প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে সেবা দিতে চেষ্টা করি, কিন্তু কর্মীসংকটের কারণে অনেক সময় সেবা দিতে দেরি হয়ে যায়। তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে যাতে নাগরিকদের সঠিক সেবা দেয়া যায়।”
এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাচন কমিশনর জয়নুল আবেদীন সাথে যানতে চেয়ে কথা বলা হলে তিনি বলেন যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া হয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকদের সেবা প্রদানকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
নির্বাচন অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অসুবিধার শিকার হলেও, নির্বাচন কমিশন এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তবে, নাগরিকদের এই ভোগান্তি কমাতে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সাধারন মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :