প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনে প্রাক্তন স্বামী রিংকু

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাক্তন স্ত্রী প্রিয়া খাতুনের দফায় দফায় করা মিথ্যে মামলার বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে এবং মিথ্যে মামলাগুলো থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন প্রাক্তন স্বামী আবুল কালাম আজাদ রিংকু। ভুক্তভোগী রিংকুর বিরুদ্ধে রাজশাহীর রাজপাড়া, কাশিয়াডাঙ্গা, মতিহার, দামকুড়া থানাসহ আদালতে ১২টিরও বেশি যৌতুক, ধর্ষনসহ অন্যান্য মামলা দায়ের করেন ।

আজ রোববার বেলা ১টায় রাজশাহী নিউমার্কেটের সেফ গার্ডেন নামের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করেছেন।

ভুক্তভোগী রাজপাড়া থানাধীন ডিঙ্গাডোবা এলাকার মৃত আবু তালেবের সন্তান মো. আবুল কালাম আজাদ রিংকু (২৮)। অভিযুক্ত পবা উপজেলার ধুতরা বন এলাকার শুকুর আলী বাবুর সন্তান মোসা. প্রিয়া খাতুন (২৪)।

সংবাদ সম্মেলনে রিংকু জানান, প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে বিষ পান করে মরে যাবে এমনভাবে তাঁকে জিম্মি করে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর তাঁর পরিবার আত্মীয় স্বজনকে ফাঁসাতে নিজের বাচ্চাকে বিষ পান করিয়ে রিংকুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফেলে গিয়েছিলেন প্রিয়া। প্রিয়া দাবি করছেন, রিংকুর প্রিন্টিং ব্যবসার একটি মেশিন এবং ৫ লক্ষ টাকা।

রিংকু বলেন, “আমার প্রাক্তন স্ত্রী উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দায়ের করেছেন। এর মধ্যে ৪টি মামলা মিথ্যে প্রমাণিত হওয়ায় মহামান্য আদালত জামিন দিয়েছেন। বিভিন্ন থানায় একের পর এক মামলা ঠুকে দিচ্ছে আমার নামে। এটি শুধুমাত্র আমাকে হয়রানি করার জন্য করা হচ্ছে। এসব মামলায় কোনো সত্যতা নেই।”

তিনি আরও বলেন, “আমার পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। আমার মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আমি আদালতের প্রতি আস্থা রাখছি এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমি ক্লান্ত। আমি এই হয়রানি থেকে মুক্তি চাই। আমার বিয়ের আগে তাঁর দুটি বিয়ে হয়েছিল। সেই প্রাক্তন স্বামীদের সাথেও এমনটি করেছে। আমাকে মামলা দিয়েছে সেই সাথে আমার সাথে জড়িয়ে আমার পরিবার ও আত্মীয় স্বজন মিলে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করছে। এছাড়াও ১ লক্ষ দেনমোহরের জায়গায় ৫ লক্ষ করিয়ে আমার কাছ থেকে অর্থ দাবি করছে। ”

সংবাদ সম্মেলনে রিংকুর ভাগ্নি মোসা. শাহানাজ পারভীন পঠিত বক্তব্যে জানান, রিংকুর প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পেছনের কারণ এবং পরবর্তী সময়ের কিছু ঘটনার উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন, “আমার মামাদের পক্ষ থেকে সবসময় আইন মেনে চলা হয়েছে এবং কখনো তার প্রতি অন্যায় আচরণ করা হয়নি। অথচ আমার মামাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ওই মহিলা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।”

এদিকে, মামলাগুলো সম্পর্কে কোনো মন্তব্য পেতে প্রাক্তন স্ত্রীর সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেননি।

রিংকু ও তাঁর পরিবার সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ বিষয়ে সঠিক তদন্তের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।