সর্বশেষ :

পানিতে ভেসে থাকা ভন্ডবাবা নুরুজ্জামান মিলনের গোপন কথা ফাঁস


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২, ২০২৪ । ৯:০৩ অপরাহ্ণ
পানিতে ভেসে থাকা ভন্ডবাবা নুরুজ্জামান মিলনের গোপন কথা ফাঁস

মানিক হোসেন : পানির ওপর ঘন্টার পর ঘন্টা ভেসে থাকা ভন্ডবাবা যিনি মায়ের মৃত্যুর আগে মুখে পানিও দেননি। তিনি ভদ্রা জামালপুরের ওলিবাবার মাঝারে থাকতেন। মায়ের অসুস্থতার ঘটনা নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে মাজার থেকে বিতাড়িত হয়েছেন এই ভন্ড মিলন ফকির।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজশাহীর ভদ্রা জামালপুরের ওলিবাবার মাজারে গেলে জানা যায় তাঁর প্রতারণার কথা।

নাজিম উদ্দীন নামের একজন ভক্ত জানান, তাঁর মা অসুস্থ থাকার সময় তাঁর ভাই এই মাজারে আসেন তাঁকে নিতে। কিন্তু আসার পর খুঁজে পাননা। পরে নাজিম উদ্দীন নামের এক ভক্তের মাধ্যমে এই ভন্ডবাবার কাছে খবর পৌঁছালে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজিম উদ্দীনের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।

তিনি তেজার বাবার শিষ্য হিসেবে পরিচিতি দেন সব জায়গায়। স্থানীয়রা বলেন, তেজার বাবার ওফাতের পর কুরমান বাবাকে দায়িত্ব দিয়ে যান পরবর্তী ভক্তদের জন্য। কিন্তু তিনি তেজার বাবার মারফত বাবা হয়েছেন বলে মিথ্যা দাবি করছেন। এই মিথ্যাবাদী আজ ভদ্রা জামালপুরের ওলিবাবার মাজারের মান ক্ষুন্ন করছেন। আমরা এই ভন্ড বাবার রটানো কাহিনীর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।  সেই সাথে তাঁর শাস্তির দাবি করছি। যেন আর কোনদিন সে প্রতারণা করে কোন ওলির সাথে বেয়াদবি করতে না পারে।

তিনি আজ বলছেন, নবীর শিক্ষা করো না ভিক্ষা কিন্তু তিনি পাথর বিক্রি তাবিজ ঝাড় ফুঁকের মত প্রতারণামূলক কাজ করেই জীবনযাপন করেন।

তাঁর সম্পর্কে ভদ্রার ওলিবাবার মাজার থেকে কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিরাজ উদ্দীন বলেন, নুরুজ্জামান মিলন একজন ভন্ড সাধক। তিনি কোন বাবার উত্তরসূরী নন। তিনি আজ মাজার বিরোধী কথা বলছেন। এজন্য প্রেসক্লাবের সামনেও বসে গেছেন। এমনকি দায়িত্ব বা অধিপত্য বিস্তার করতে থানার মুখোমুখি হয়েছেন। আসলে তাঁর কোন আধ্যাত্মিক কোন শক্তি নেই। তাঁর কোন ভক্তবৃন্দ বা অনুসারীও নেই। তাঁর মাদকাসক্ত ও চুরির প্রমাণ পাওয়ায় এই মাজার থেকে তাঁকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

সাজ্জাদ নামের এক সাধক বলেন, নুরুজ্জামান মিলন একজন লোভী প্রকৃতির মানুষ। মাজারে দেহ ব্যবসা ও মাদকের আখড়া বলেছেন। কিন্তু কেউ বলতে পারবেন না যে ভদ্রা জামালপুরের এই মাজারে অসামাজিক কোন কর্মকান্ড হয়। আসল কথা হলো সাধনায় সিদ্ধ না হয়ে পানির ওপর প্র্যাক্টিস করে ভেসে থাকতে পারেন। কিন্তু সাধক বা বাবা হলে তিনি পানির ওপর জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজও পড়তে পারতেন বা বসে থাকতে পারতেন। তিনি ভেসে থাকেন এভাবে সবাই করতে পারবেন। তিনি সত্যিকার বাবার পর বাবা হলে থানার শরণাপন্ন হতেন না। ওলি আওলিয়ারা কখনোই থানা মামলা মোকদ্দমার মুখোমুখি হোন না। তিনি প্রকৃত ভন্ড। তাঁর জন্যই আজ নবী রাসূলদের অনুসারী বা উত্তরসূরীরা নির্যাতিত ও নিপীড়িত।

পুরোনো সংখ্যা

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
%d bloggers like this: