সর্বশেষ :

রাজশাহীতে পাওনা টাকা দিতে ডেকে ব্যাবসায়ীকে মারধর


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৮, ২০২৪ । ৮:৩৯ অপরাহ্ণ
রাজশাহীতে পাওনা টাকা দিতে ডেকে ব্যাবসায়ীকে মারধর

মো. মানিক হোসেন : রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় ফারুক হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ নামের আরেক ব্যবসায়ীকে ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৫০০ পরিমাণ পাওনা টাকা দিতে ডেকে হিসেবে ভুল দেখিয়ে ১৩ থেকে ১৫ জন মিলে ছিনতাই, মারধর করে স্ট্যাম্প জালিয়াতিসহ গুম করার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিবৃতি জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন শিবপুর এলাকার মোয়াজ্জেমের ছেলে রাজু আহমেদ (৩৪)। 

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা দেড় টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ভুক্তভোগীর স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বক্তব্যে বলেন, গত মঙ্গলবার আনুমানিক বিকেল ৫টায় ফোন করে পাওনা টাকা দেয়ার নাম করে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গার আদারিপাড়া এলাকার বাবর আলীর ছেলে ফারুক হোসেন ডাকেন। সেসময় ব্যবসার কাজে আমি রাজশাহীতেই ছিলাম। আমি টাকা নিতে গেলে ফারুক হোসেন কাশিয়াডাঙা কলেজের ভেতর ঢুকিয়ে প্রথমে জানতে চান আমি তাঁর কাছ থেকে কত টাকা পাই। আমি ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা জানালে উনি বলেন আমার কাছ থেকে তুই কোন টাকা পাস না। আমি তোর কাছ থেকে টাকা পাই। এই কথা বলে আমার গায়ে হাত তোলেন। আমি মানা করলে ১২ থেকে ১৫ জন লোক জড়ো করে আমাকে আবারও মারধর করতে থাকেন। ওই সময় ওই এলাকার বাবর আলীর ছেলে ফারুক ও শাহজাত, বুলবুলের ছেলে বাপ্পী, আকবর ও সেলুনওয়ালা মিজরসহ ১৫ জন একত্রে মেরে ফেলার প্রানণাশের হুমকিসহ গুম করার হুমকি দিতে দিতে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। এরই ফাঁকে একজনকে দিয়ে ফাঁকা স্ট্যাম্প নিয়ে আসেন। স্ট্যাম্পে ফারুক হোসেন উল্টো আমার কাছ থেকে ২ লক্ষ ৪১ হাজার ২৬ টাকা পাবেন উল্লেখ করে জোরপূর্বক সই স্বাক্ষর করে নেন। আমার কাছে থাকা কালেকশনের ৮ লক্ষ ৩০ হাজার ৫০০ টাকাও তাঁরা ছিনতাই করে নিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আমি আহত হলে আগের মামলায় পুঠিয়া থানার পুলিশ হাফিজুর রহমান, মোকাদেদস ও  শফিকুল ইসলামের হাতে তু্লে দেয়। সেখান থেকে তাঁরা পুঠিয়া থানাধীন এক চিকিৎসালয়ে আমার প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরদিন আমাকে আদালতে নেয়া হলে জামিনে এসে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি হই। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার দুইদিন অসুস্থতা কাটিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার এবং ব্যবসা করার নিরাপত্তা পেতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ফারুক হোসেন এবং তাঁর ভাই এগুলো মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে অস্বীকার করেন। তাঁরা আরও জানান, রাজু আহমেদের কাছ থেকেই টাকা পাওনা রয়েছেন।

নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি কামাল হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

পুরোনো সংখ্যা

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
%d bloggers like this: