পরমা সরকার : ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুর অন্তরে। র্অথাৎ, আজকের শিশুই আগামী দিনে ভবিষ্যৎ। শিশুরাই আগামীর দেশ ও জাতি গড়ার কারিগর। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ৪৫ শতাংশ শিশু। কিন্ত শ্রমের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে শিশুর দুরন্ত শৈশব এবং উজ্জল ভবিষ্যৎ অন্ধকারের অতলে হারিয়ে যায়।
দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোতে শিশুশ্রম একটি রড় সমস্যা। যে বয়সে তাদের বিদ্যলয়ে যাওয়ার কথা তা না কওে তারা বিভিন্ন কাজকর্মে যুক্ত হয়েছে। সব ক্ষেত্রে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও ঘর থেকে বের হলে দেখতে পাওয়া যায় শিশুশ্রমের করুন দৃশ্য। বিভিন্ন স্থানে শিশুরা কাজ করছে যেমন, হোটেল, ইটের ভটা, পাথর ভাঙ্গা, কারখানা, বাসা-বাড়ি ইত্যদি জায়গাতে কাজ করে।
শিশুর বয়সসীমা ও শিশুশ্রম নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করা হয়েছে। ১৯৭৪ সালে চিলড্রেন অ্যাক্টে শিশুর বয়স ১৬ বছর করা হয়। ১৯৮৯ সালে জাতি সংঘের শিশুর অধিকার সনদে মতামত রাখা হয়েছিল ১৮ বছর। ১৯৯৪ সালে প্রণীত জাতীয় শিশুনীতিতে শিশুদের বয়স ১৪ বছর করা হয়েছিল। ২০০৩ সালে এক জুন শিশুর বয়সসীমা ১৬ বছর নির্ধারণ করা হয়। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের শ্রমআইন ২ (৬৩) ধারায় শিশু অর্থ ১৪ বছর বয়স পূর্ণ করেন নাই এমন কোন ব্যক্তি। ২০১১ সালে জাতীয় শিশুনীতি ২-১ ধারায় শিশু বলতে ১৮ বছরের কমবয়সি কোনো ব্যক্তি কে বোঝায়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে শিশুশ্রম প্রসঙ্গে বরা হয়েছে- যদি কোনো শ্রম শিশুর দৈহিক, মানুষিক ও সামাজিক বাধা হয়ে দারায় তখন তা শিশুশ্রম হিসাবে গণ্য হবে। শিশুর অধিকাররক্ষা এবং ঝুকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে করার জন্য ২০০২ সালে জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস হিসাবে পালন করা হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ৮০টি দেশে এই দিবস পালন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :