এসিল্যান্ডের অভিযানে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদির ওপর হামলা করলো বিবাদী


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২, ২০২৪ । ৯:৫৪ অপরাহ্ণ
এসিল্যান্ডের অভিযানে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদির ওপর হামলা করলো বিবাদী

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার স্কুলপাড়া গ্রামে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ( ভূমি) শামসুল ইসলাম ।সহকারী ভুমি কমিশনার অভিযান শেষে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদির ওপর অতর্কিত হামলা করে বিবাদীরা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কোর্টের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে না থাকায় বাদী বিবাদী উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে উপস্থিত হতে বলেন সহকারী ভূমি কমিশনার শামসুল ইসলাম ।

সহকারী ভুমি কমিশনার ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদির ওপর অতর্কিত হামলা করেন বিবাদী গন। এ সময় হামলায় আহত হয়েছেন, তরিকুল ইসলামের ছেলে আলিম (৩৮), বুলু মহাজনের ছেলে রেজাউল (৫৮), বারেকের ছেলে তারিকুল (১৮), তরিকুল ইসলাম ছেলে মাসুদ (২০), একরামুল হকের ছেলে  হুমায়ুন  (৩০) ও শহিদুল ইসলাম (৪০), মৃত সৈয়ব আলীর ছেলে রাশিদুল হক ( ৪৫), মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বদরুজ্জামান (৫৫), বদরুজ্জামানের ছেলে রিফাত (১৮)।

মামলার বিবাদী আলমগীর হোসেন দেশীও আগ্নেয়াস্ত্রদা শাবল, কুড়াল লাঠিসোটা নিয়ে  অতর্কিত হামলা চালায়। এছাড়াও প্রশাসনের লোকদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বলেন, সরকারি লোকদের নিয়ে এসে কি করতে পারলি আমাদের বলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে বাদী পক্ষকে।
ওই গ্রামের। মসজিদের সভাপতি আলমগীর হোসেন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পক্ষগণকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং লোক এনে মারধর করেন। মারধরের শিকার ভুক্তভোগীরা রাজশাহীর গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায় একটি দলের প্রভাবশালী এক নেতাকে ম্যানেজ করে আলমগীর হোসেন এলাকায় বাহিনী তৈরি করেছেন। যেকোন বিষয়ে কেউ আলমগীরের মতামতের বাইরে গেলে তার ওপর চলে অমানুষিক নির্যাতন এ বিষয়ে আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়

উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা রাজশাহীর সিনিয়র দায়রা জজ আদালত ফৌজদারি রিভিশন নং – ১৭/২০২৩ মামলায় দরখাস্তকারীর চলাচলের রাস্তায় দেওয়া অবৈধ প্রাচীর / স্থাপনা জরুরী অপসারণের  নির্দেশ দেওয়ায় এবং ব্যর্থতায় দরখাস্তকারী আইনানুগ ভাবে উক্ত স্থাপনা অপসারণ করে নিতে পারবে মর্মে আদেশ দেন।কিন্তু প্রতিপক্ষগণ আদেশ পাওয়ার পরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই।দরখাস্তকারী ৭ অক্টোবর সহকারী কমিশনার ( ভূমি) গোদাগাড়ী, রাজশাহী বরাবর লিখিত দরখাস্ত করেন।উক্ত দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ অক্টোবর উভয় পক্ষকে ডেকে প্রতিপক্ষকে রাস্তা অপসারণ করে নিতে বলেন।এতে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ ( বেঞ্চ সহকারী)  এসিল্যান্ড গোদাগাড়ীকে ব্যবস্থা গ্রহণের আদশ দেন।

একই মামলায় রাজশাহী জেলার মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলামকে প্রাচীর অপসারণের নির্দেশ দেন রাজশাহীর আদালত। সেই নির্দেশ পালন না করে তিনি প্রভাবিত হয়ে মন গড়া রিপোর্ট প্রদান করেন আদালতে।
এ বিষয়ে জানতে মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি কারো দ্বারা প্রভাবিত হই নাই ।আমি তাদের নিয়ে বসে সমাধান করতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি)  শামসুল ইসলাম জানান আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে ডেকেছিলাম। পরবর্তীতে বিবাদী পক্ষ বাদির উপর হামলা করেছে । আমরা আদালতের আদেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো

পুরোনো সংখ্যা

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
%d bloggers like this: