বলিউড অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের দীর্ঘদিন পর কারিনা কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অভিনেতা সাইফ আলী খান। ২০০৭ সালে ‘টশান’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় একে অন্যের প্রেমে পড়েন এই জুটি।
এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন সাইফ-কারিনা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, মায়ের অনুমতি নিয়েই সাইফের সঙ্গে লিভ-ইনে ছিলেন তিনি। একপর্যায়ে সম্পর্ককে নাম দিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা।
সাইফের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর খবর কি জানতেন কারিনার বড় বোন অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর? দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শর্মা শোয়ে উপস্থিত হয়ে এই প্রশ্নের মুখে পড়েন অভিনেত্রী।
যেখানে কারিশমা জানান, সাইফ আলী খানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা মুঠোফোনে কারিনার কাছ থেকে জানতে পারেন তিনি।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘মুঠোফোনে কারিনা আমাকে কিছু বলতে চায়। কিন্তু তার আগে আমাকে কোথাও বসতে বলে। তবে আমি বুঝতে পারছিলাম না কেন আমাকে বসতে হবে! ওই সময়ে লন্ডনে আমি মার্কেটে কেনাকাটা করছিলাম। তারপর একটি সোফা খুঁজে নিয়ে বসে পড়ি!’
কারিনার কথা শুনে চোখ কপালে উঠে যায় কারিশমার। এ তথ্য উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, কারিনা বলছিল, ‘বিষয়টি হলো, আমি সাইফের প্রেমে পড়েছি। আমরা একসঙ্গে আছি। আমরা ডেট করছি।’
এ কথা শুনেই আমি শক্ত করে সোফা ধরেছিলাম। কারণ সাইফ আমার বন্ধু এবং সহ-অভিনেতা ছিল, তাই না?
প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর পরপরই কারিনার সঙ্গে লিভ-ইন করার প্রস্তাব দেন সাইফ আলী খান। কিন্তু কারিনা সাফ জানিয়ে দেন এ ব্যাপারে তার মায়ের (ববিতা কাপুর) কাছে অনুমতি নিতে হবে সাইফের।
তারপর কোনো ভণিতা না করে সোজা কারিনার মায়ের কাছে চলে যান এবং সম্পর্কের কথা সুন্দরভাবে কারিনার মাকে জানান সাইফ আলী খান। শুধু তাই নয়, কারিনার সঙ্গে একসঙ্গে থাকার অনুমতিও চান তিনি।
এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে কারিনা কাপুর বলেছিলেন, ‘সাইফ মাকে বলেছিল, আমরা বাকি জীবনটা একসঙ্গে কাটাতে চাই। মা সব শুনে কোনো দ্বিরুক্তি করেননি; বরং রাজি হয়ে যান।’
২০১২ সালে বিয়ে করেন সাইফ-কারিনা। ২০১৬ সালে জন্ম নেয় এ দম্পতির প্রথম সন্তান তৈমুর আলী খান। ২০২১ সালের ২১ ফ্রেব্রুয়ারি এ জুটির সংসার আলো করে জন্ম নেয় দ্বিতীয় পুত্র সন্তান।
আপনার মতামত লিখুন :