নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর শুক্রবারে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিদুল ইসলাম বাচ্চুসহ একহাজার বিএনপি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেন৷ সেই আওয়ামী লীগ নেতা মফিদুল ইসলাম বাচ্চুর নামে মামলা হয়েছে বিজ্ঞ আদালতে।
জানা গেছে, ঢাকায় ২ আগস্টের আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থী মো. আমির আলী খান । তিনি রাজধানীর লরেন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ (মোহাম্মদপুর) নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী। স্থায়ী বাসা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানাধীন মধুরনাগপুর গ্রামে হলেও বাবা মো. সবুজ খানের সাথে বর্তমান ঠিকানা ঢাকার মোহাম্মাদপুর থানাধীন রায়েরবাজারের দরগাবাড়ী এলাকা থাকেন। ছাত্র জনতার সরকার পতনের একদফা আন্দোলনকে সফল করার লক্ষ্যে বিগত আগস্টের ২ তারিখে ছাত্র জনতার সাথে শিক্ষার্থী রাজধানীর ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ এলাকায় রাজপথের আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন। শুক্রবার (২ আগস্ট) বেলা হাজারীবাগস্থ জিগাতলা পোস্ট অফিসের সামনে ভুক্তভোগী আমির আলী খান অভিযুক্ত আসামীরাসহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের মাধ্যমে নির্মমভাবে হামলার শিকার হন। গুরুত্বর আহত হয়ে পরে মেডিকেলে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সাবেক প্রধামন্ত্রীসহ ৮৩ জনসহ ২০০/৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী আমির আলী খানের বাবা সবুজ খান। এ মামলার ৬৩ নং সিরিয়ালে অভিযুক্ত আসামী হিসেবে আছেন ঢাকা ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার মৃত সোলায়মানের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা মো. মফিদুল ইসলাম বাচ্চু (৫০) । তাঁর স্থায়ী ঠিকানা রাজশাহী জেলার কাটাখালী পৌরসভার হরিয়ান পূর্বপাড়া ।
অভিযুক্তরা হলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে তাপস নুর, গোপালগঞ্জ-২ এর সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, ঢাকা-১০ এর সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ (৫০), হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাদেক হামিদ, ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবলা, ঢাকা যাত্রাবাড়ীর বীরহাজীরবাগ এলাকার মৃত ফেরুজের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল (৫৫)। যার স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনার মদন এলাকা। গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুল আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি.এম সাহাব উদ্দিন, ঢাকা মোহাম্মাদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকার মৃত মকবুল খানের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা খান আজাদ । য়ার স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের দৌলতপুর এলাকায়। কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ভগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শেখ আয়নাল হোসেন, টুঙ্গীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু-বাশার খায়ের, ঢকা হাজারীবাগের ট্যানারী মসজিদ গলির মৃত আবদুর সাত্তারের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা তৈমুর (৪০)। যার স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনার মদনের দৌলতপুর এলাকায়।
টুঙ্গীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ। ঢাকা হাজারীবাগের পোস্ট অফিস গলির মৃত জুনায়েদ খানের ছেলে ও যুবলীগ নেতা রিকন খান (৪৫)। যার স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের দৌলতপুরে। ঢাকা ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের অনু মিয়ার ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন (৩৫)। যার স্থায়ী ঠিকানা যার স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের দৌলতপুরে। ঢাকা গেন্ডারিয়া কাঁচা বাজারের মৃত আল্লাদ মিয়ার ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল চৌধুরী (৩৪। যার স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের দৌলতপুরে। ঢাকা যাত্রাবাড়ীর মসজিদ গলির ভাঙ্গা প্রেসের আবদুল গনির ছেলে এবং যুবলীগ নেতা হুমায়ুন (৪৩), ঢাকা মোহাম্মাদপুরের চন্দ্রিমা হাইজিং এলাকার যুবলীগ নেতা এবং লাহুদ মিয়ার ছেলে রাসেল (৩৪), ঢাকা যাত্রাবাড়ীর ফারুক রোডের টনি টাওয়ার গলির সামসুল হকের ছেলে এবং আওয়মী লীগ নেতা হাফিজুর (৫২), ঢাকা দক্ষিন যাত্রাবাড়ীর ওয়াসা গলির কালা মিয়ার ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা আলামিন (৪৩)।যার স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের দৌলতপুরে। ঢাকা যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা মো. বাচ্চু (৫৫)। যার স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের ত্রিয়শ্রীতে। ঢাকা ধানমন্ডির স্টার কাবাব এলাকার মৃত আনুমিয়ার ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা শফি (৪০)। যার স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের দৌলতপুরে। ঢাকা ধানমিন্ড আবাসিকের ২৭ এলাকার সামছুউদ্দিনের ছেলে এবং যুবলীগ নেতা ওপিক (৪০)।
ঢাকা হাজারীবাগ পোস্ট অফিস গলির কুদ্দুছের ছেলে এবং যুবলীগ নেতা নজরুল (৩৮)। ঢাকা যাত্রাবাড়ীর মীর হাজীরবাগ এলাকার মৃত ফেরুজের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল (৫০)। চট্টগ্রাম মিরসরাই জোরারগঞ্জের মধ্য আজমনগরের চুনি মিজি বাড়ীরমৃত সুলতান আহমেদের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন রিফাত (২৭), মৃত মাওলানা আবদুল কুদ্দুছের ছেলে মো. ওসমান গনি (৪৩), ঢাকা ধানমন্ডি আবাসিক ১৫- এর মৃত সিদ্দিক খানের ছেলে কোহিনুর (৪৫)। যার স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের ত্রিয়শ্রীতে। ঢাকা রমনার দক্ষিন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ঢাকা দক্ষিন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং ঢাকা রমনার সিদ্বেশ্বরী কালি মন্দিরের পাশে ১১২ এলাকার শিবনাথ দাসের ছেলে আশিষ কুমার দাস (৪০), নেত্রকোনা মদনের বাঘমারা এলাকার মৃত আবদুল ওহাবের ছেলে তোফায়েল (৫৫)। বর্তমানে তিনি ঢাকার ওয়ারী থানাধীন কবরস্থান গলিতে বসবাস করছেন। ঢাকা ধানমন্ডির সীমান্ত গলির মোসলেম উদ্দিনের ছেলে ফকরুউদ্দিন (৪৭)। যার স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের বাঘমারায়। ঢাকা হাজারী বাগের তল্লাবাগ এলাকার মৃত করিম ভূইঞার ছেলে মাজু (৪১) । তাঁর স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের কাওয়ালিবিন্নীতে। ঢাকা যাত্রাবাড়ী আলম নগরের ওয়াজিদ খাঁর ছেলে এবং যুবলীগ নেতা বজলু (৫৫)। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের কাওয়ালিবিন্নীতে।
নেত্রকোনা মদনের দড়িবিল্লী এলাকার মৃত আবদুল হারেছ খানের ছেলে এবং আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুব আলম খান (৪৭) ও ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান খান রুবেল (৩৫), ঢাকা ধানমন্ডির আবাসিকের লেকের পাড় এলাকার মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে এবং আওয়ামীলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ (৫২)। যার স্থায়ী ঠিকানা নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার থানাধীন রসুলপুরে। ঢাকা হাজারীবাগের বিডিআর গেট এলাকার ফশর আলীর (তারার বাপ) ছেলে এবং আওয়ামীলীগ নেতা আবদুর রহিম (৫৫),তাঁর স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের হাসনপুর, ঢাকা মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকার মৃত আকতারুজ্জামান মিয়ার ছেলে এবং আওয়ামীলীগ নেতা মো. সামছুল ইসলাম । তাঁর স্থায়ী ঠিকানা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের জিরতলীতে। ঢাকা কলাবাগান থানাধীন হাতিরপুলের জজ গলির ফ্ল্যাট নং-২/এ ১৬১ এলাকার মৃত আব্দুস সালাম মোল্লার ছেলে আব্দুল হামিদ (৪০)। যার স্থায়ী ঠিকানা গোপালগঞ্জের পাচুরিয়ার বেইলী ফুল গার্ডেন। ঢাকা ধানমন্ডি রোডনং-৯ এলাকার মৃত কামিল শেখের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা হাবিব (৬০)। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের বালালিতে।
ঢাকা যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল এলাকার মৃত সোনাপরের ছেলে এবং আওয়ামীলীগ নেতা কাশেম মিয়া (৫৫)। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের কাতলায়। ঢাকা মহানগর দক্ষিনের যুবলীগ নেতা এবং মুগদার মাতবর টাওয়ারের ২৩৯ এর পিতা মৃত আবুল হোসেন বাবুরের ছেলে মেহেদী হাসান রবিন (৩৫),ঢাকা যাত্রাবাড়ী বিবির বাগিচার ২নং গেট এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে এবং আওয়াম লীগ নেতা আরিফ আজাদ (২০)। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের কাতলায়। ঢাকা দক্ষিন যাত্রাবাড়ীর চন্দনকোঠা এলাকার মৃত আক্তার উদ্দিনের ছেলে এবং যুবলীগ নেতা কামাল (৪০)। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের কাতলায়। ঢাকা দক্ষিন যাত্রাবাড়ীর চন্দনকোঠা এলাকার মৃত আক্তারউদ্দিনের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা জামাল (৪৫), ঢাকা মাতবর টাওয়ার মুগদার উত্তর মুগদা এলাকার ২৩৯ নং এলাকার আবুল হোসেন বাবুলের ছেলে এবংআওয়ামী লীগ নেতা রুমি (৩০), নেত্রকোনা মদনের কাতলা এলাকার মৃত ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা মিষ্ট (৩৫)। ঢাকা বোরহানপুরের লালচানের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন (৫০)। যার স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা মদনের কুলিয়াটি দক্ষিনপাড়া ওয়ার্ড- ০৪। ঢাকা ধানমন্ডি আবাহনী মাঠ এলাকার মৃত আবদুল করিমের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চু (৪৫), নেত্রকোনা মদনের সাহাপুর পূর্বপাড়ার চাঁনগাও এলাকার মো. মালেক ফকিরের ছেলে এবং আওয়ামী লগি নেতা মো. আবু সাঈদ (৪৫), নেত্রকোনা মদনের সাহাপুর তিনবাড়ীর চাঁনগাও এলাকার আবদুর রশিদ মিয়ার ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইসলাম উদ্দিন মিয়া (৪৪)।
ঢাকা যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারূক রোডের গাজী ফেরদোস মিয়ার ছেলে এবং ছাত্রলীগ নেতা মো. সাগর মিয়া (২৫), মীর হাজীরবাগের আওয়ামী লীগ নেতা এবং মালেক ফকিরের ছেলে বজলু মিয়া (৫৫), ধানমন্ডি আবাসিক ২৭ এলাকার মজলিস মিয়ার ছেলে এবং যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেন (৩৫), চট্টগ্রাম জোরারগঞ্জের মধ্য আজমনগর এলাকার মৃত মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের ছেলেএবং আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক (৫২), ঢাকা হাজারীবাগের কালুনগর এলাকার মৃত আলতাফ খানের ছেলে রুহুল আমিন (৪৮)। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা বরিশাল বাকেরগঞ্জের রূপসী এলাকা এবং তিনি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক। ঢাকা ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার মৃত সোলায়মানের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা মো. মফিদুল ইসলাম বাচ্চু (৫০) । তাঁর স্থায়ী ঠিকানা রাজশাহী জেলার কাটাখালী পৌরসভার হরিয়ান পূর্বপাড়া এবং তিনি আওয়ামীলীগ নেতা। ঢাকা হাজারীবাগ কালুনগরেরজামাল উদ্দিনের ছেলে এবং যুবলীগ নেতা মো. মেজবাহ উদ্দিন মিঠু (৩৭)।তাঁর স্থায়ী ঠিকানা চট্টগ্রামের মিসরাই জোরারগঞ্জের মধ্য আজম নগর। ঢাকা যাত্রাবাড়ী মীর হাজীরবাগের জামালউদ্দিনের ছেলে কাজী সেলিম উদ্দিন বাবলু (৪৮)। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিনের আওয়ামীলীগ নেতা ।(৩৭)। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা চট্টগ্রামের মিসরাই জোরারগঞ্জের মধ্য আজম নগরের ব্যাপারী বাড়ী।
চট্টগ্রামের মিসরাই জোরারগঞ্জের মধ্য আজম নগরের এদ্দের আলী মাঝি বাড়ীর মনিসওদাগরের ছেলে এবং আওয়ামীলীগ নেতা জামাল সওদাগর (৫০)। ঢাকা ধানমন্ডির আবাসিক এলাকার মৃত মালেক কমিশনারের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা সামছুদ্দীন জেহান (৫৬)। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা নোয়াখালী সদরের শ্রীপুরে এবং তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। ঢাকা মোহাম্মদপুর লোহারগেট এলাকার মৃত জাহাঙ্গীর মেম্বারের ছেলে এমদাদুল করিম রুমেল (৩২)। তিনি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ছিলেন। ঢাকা ধানমন্ডির জিগাতলা এলাকার মৃত কালু ড্রাইভারের ছেলে বেলায়েত হোসেন প্রকাশ (৪৫) এবং তিনি নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য। ঢাকা ধানমন্ডি আবাহনী মাঠ এলাকারমো. হারুন মিয়ার ছেলে এবংআওয়ামী লীগ নেতা জাহির মোল্লা (৪০)। ঢাকা দারুস সালামের ২য় কলোনী এলাকার ৪১/বি/এ এলাকার মমিনুল হকের ছেলে এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের মিল্টন (৩৫)। ঢাকা ধানমন্ডি স্টার কাবাব গলি এলাকার জাহাঙ্গীর মেম্বারের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোহন (৪৪), ঢাকা ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার লেকপাড় এলাকার মৃত নাছির মিয়ার ছেলে এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান (৫৬),
ঢাকা হাজারীবাগ রাইসমি গলি এলাকার আবুল কালামের ছেলে এবং যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম খলিল (৩৮)। ঢাকা মোহাম্মদপুর বছিলা এলাকারমৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবু হাসান রাসেল (৪৬)। নোয়াখালী হাতিয়ার চরকৈলাশ এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে এবং নোয়াখালী-৬ এর সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী (৬৮)। নোয়াখালী হাতিয়ার চরকৈলাশ এলাকার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী এবং নোয়াখালী-৬ এর সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস (৬২)। নোয়াখালী হাতিয়ার চরকৈলাশ এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে এবং নোয়াখালী হাতিয়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আওয়ামীলীগ নেতা মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন (৫১)।নোয়াখালী হাতিয়ার চরকৈলাশ এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে এবং নোয়াখালী হাতিয়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আওয়ামীলীগ নেতা আশিক আলী অমি (৩৩)।ঢাকা মোহাম্মদপুর সাবেক ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং আওয়ামীলীগ নেতা।হাবিবুর রহমান মিজান (৫৬)।আওয়ামীলীগের অর্থদাতা ও নেতাঢাকা ধানমন্ডির আবাসিক এলাকার ১০নং রোডের মহিউদ্দিন মাস্টারের ছেলে মমিনুল হাসান মামুন (৫০)। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা টাঙ্গাইলের গোপালপাড়া থানাধীন বানিয়াপাড়ায়। চট্টগ্রামের মিসরাই জোরারগঞ্জের মধ্য আজম নগরের মনা মিয়া (৫৫)। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওয়ামীলীগ নেতা । ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওয়ামীলীগ নেতা এবং ঢাকা পল্লবী বাউনিয়বাঁধ এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে রুবায়েত ইয়াছির মোস্তফা (৩৬)।
সবুজ খান মামলার আবেদনে জানান, মামলার ভিকটিম মো. আমির আলী খান (১৪) বাদীর ঔরসজাত পুত্র। বাদী পরিবার-পরিজন নিয়ে তার বর্তমান ঠিকানায় থাকতেন। বাদীর পুত্র মো. আমির আলী খান (ভিকটিম) একজন ছাত্র এবং তিনি রাজধানীর লরেন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ (মোহাম্মদপুর) নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেনীতে পড়াশুনা করেন। যেহেতু বিগত জুলাই, ২০২৪ইং বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্রদের দ্বারা চাকুরীতে কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু ও চাঙ্গা হয়। সাধারন ছাত্রদের এই কোটা বিরোধী আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং আপামর জনসাধারণ সমর্থন প্রদান করে। তৎকালীন সরকার, সরকারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আওয়ামীলীগ ও তাদের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ একাগ্র ও উগ্রতার সহিত সাধারণ ছাত্রদের উক্ত আন্দোলন দমনে সহিংস হয়ে পড়ে। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা, গুরুতর জখম করা, শুম করা, শ্লীলতা হানি করা সহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করে থাকে। এসময় কয়েকশ ছাত্র জনতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনাও ঘটে। বিগত ছাত্র আন্দোলনের শেষের দিকে উক্ত আন্দোলন বাংলাদেশের সর্ব সাধারনের সমর্থন ও অংশগ্রহণে ছাত্র জনতার আন্দোলনে পরিনত হয় ও কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে রূপ নেয়।
সর্বশেষ সরকার প্রধান স্বৈরাশাসক শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। যেহেতু ছাত্র জনতার সরকার পতনের একদফা আন্দোলনকে সফল করার লক্ষ্যে বিগত আগস্টের ২ তারিখে অপরাপর ছাত্র জনতার সহিত অত্র মামলার ভিকটিম রাজধানীর ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ এলাকায় রাজপথের আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন। আন্দোলনকারী ছাত্রজনতা রাজপথ দখল করে বিক্ষোভ করতে থাকলে তৎকালীন সরকারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমূহ পুলিশ, বিজিবি, আনসার সহ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকগণ বার বার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করান চেষ্টা করে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা আরও সুসংগঠিত হয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে।
আগস্টের ২ তারিখ দুপুর আড়াইটার দিকে ছাত্রজনতার একটি বিক্ষোভ মিছিল জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডে পৌছালে সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান নেওয়া এই মামলায় উল্লেখিত আসামীগণ সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমূহ ও আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা হামলা চালায়। প্রথমে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও এলোপাথারী গুলি করলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করে বিভিন্ন দিকে যেতে থাকে। এসময় অত্র মামলার ভিকটিমসহ কয়েকজন দৌড়ে হাজারীবাগস্থ জিগাতলা পোস্ট অফিসের সামনে পৌছালে সেখানে ভিকটিমের উপরঠিক ২ টা ৪০ মিনিটে মামলার আসামীরাসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা হামলা চালায়। এসময় জিগাতলা পোস্ট অফিসের সামনে পাকারাস্তার উপর ১ থেকে ৬নং আসামী শেখ হাসিনা, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে তাপস নুর, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আহসানুল ইসলাম টিটু, ফেরদৌস আহমেদের নির্দেশে আসামীরা ভিকটিমের উপর হামলা ও গুলি চালায়। ৭ ও ৮নং আসামী ইলিয়াছুর রহমান ও সাদেক হামিদ ভিকটিমকে লাথি মেরে রাস্তার উপর ফেলে দেয়। ৮ ও ৯নং আসামীসাদেক হামিদ ও কামাল আহমেদ তাঁদের হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা ভিকটিমের মাথায় আঘাত করে, ১০ থেকে ১৪নং আসামী রফিকুল ইসলাম বাবলা, হেলাল, মাহাবুব আরম খান, জিএম সাহাব উদ্দিন, খান আজাদদের হাতে থাকা কাঠের লাঠি দ্বারা ভিকটিমের দুই হাত ও দুই পায়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।
১৫ থেকে ৩১নং আসামী ভগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, শেখ আয়নাল হোসেন, আবু বাশার খায়ের, বাবুল শেখ, রিকন খান, স্বপন, সোহেল চৌধুরী, হুমায়ূন, রাসেল, হাফিজুর, আলামিন, বাচ্চু, শফি, ওপিক, নজরুল, বাবুলদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দ্বারা ভিকটিমের পিঠে হাতে ও পায়ে আঘাত করে। ৩২নং আসামী আবদুল্লাহ আল মামুন রিফাত ভিকটিমের কোমরে লাথি মারে ও তার প্যান্টের পিছনের পকেটে থাকা মানিব্যাগ ছিনিয়েনেয়।৩৩ থেকে ৮৪ নং আসামী ওসমান গনি, কোহিনুর, আশিষ কুমার দাস, তোফায়েল, ফকরউদ্দিন,মাজু, বজলু, মাহবুব আলম খান, মনিরুজ্জামান খান রুবেল, আসাদুজ্জামান আসাদ, আবদুর রহিম,সামছুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ, হাবিব, কাশেম মিয়া, মেহেদী হাসান রবিন, আরিফ আজাদ, কামার, জামাল, রুমি, মিষ্ট, রিয়াজ উদ্দিন, বাচ্চু, আবু সাঈদ, ইসলাম উদ্দিন মিয়া, সাগর মিয়া, বজলু মিয়া, মোশারফ হোসেন, ওমর ফারূক, রুহুল আমিন, মফিদুল ইসলাম বাচ্চু, মেজবাহ উদ্দিন মিঠু, কাজী সেলিম উদ্দিন বাবলু, জামাল সওদাগর, সামছুদ্দীন, এমদাদুল করিম রুমেল, বেলায়েত হোসেন প্রকাশ, জহির মোল্লা, আবদুল কাদের মিল্টন, মোহন, আব্দুল মান্নান, ইব্রাহিম খলিল, আবু হাসান রাসেল, মোহাম্মাদ আলী, আয়েশা ফেরদাউস, মাহাবুব মোর্শেদ লিটন, আশিক আলী অমি, হাবিবুর রহমান মিজান, মমিনুল হাসান মামুন, মনা মিয়া, রুবায়েত ইয়াছির মোস্তফারা সকলেই ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কিল, ঘুষি ও লাথি মারে। আসামীগণের দানবীয় আক্রমনে ও হিংস্র পশু সুলভ আঘাতে ভিকটিম মাথায় গুলিবিদ্ধ ও মারাত্মক রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত ও অজ্ঞান হয়ে রাস্তার উপর পড়ে থাকে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর আশেপাশের লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে স্থানীয়। চিকিৎসালয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে এবং তার বাবা অর্থাৎ বাদীকে খবর জানায়। বাদী আসিয়া তার ছেলের প্রাথমিক চিকিৎসা দ্রুত সম্পন্ন করিয়া পুনরায় হামলা ও পুলিশের গ্রেফতার এড়াইবার জন্য দ্রুত উক্ত এলাকা ত্যাগ করিয়া ভিকটিমকে নিয়া বাসায় চলিয়া যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের শরীরে মারাত্মক ও জটিল সমস্যা দেখা দিলে এবং তার মাথায় রক্তক্ষরণ হলে অপারেশনের প্রয়োজন দেখা দিলে এবং ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতন হয়ে দেশের পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক হলে বিগত ২৪ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। হাসপাতালে দীর্ঘদিন তার চিকিৎসা চলে, বর্তমানেও ভিকটিমের চিকিৎসা চলমান, তার শরীরে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও গুলি রয়েছে এবং তিনি আশংকামুক্ত নন। যেহেতু এই মামলার আসামীগণ ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্র নিয়া আক্রমন করত: গুরুতর জখম ও গুলিবিদ্ধ করিয়া এবং তাঁর মানিব্যাগ ছিনতাই করে এবং তাঁকে ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় দন্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩২৫/৩২৬/৩০৭/০৪/ ৫০৬/ ১০৯/ ৩৪ ধারার অপরাধ করে এবং মামলার বিষয়বস্তুও ঘটনাস্থল বিজ্ঞ আদালতের এখতিয়ারাধীন হওয়ায় এবং সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও জনবলের সংকটজনিত কারনে মামলা গ্রহণ না করিয়া বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ প্রদান করায় বাদী কর্তৃক আসামীগণের বিরুদ্ধে আপনার বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি আনয়ন করা হইলো । যেহেতু আসামীগণের নাম, ঠিকানা সংগ্রহ, ভিকটিমের চিকিৎসাজনিত কারনে এবং শুভাকাঙ্খীদের সাথে পরামর্শ করিয়া মামলা দায়েরে বিলম্ব হইলো অন্যান্য বক্তব্য শুনানীকালে উপস্থাপিত হইবে। অতএব বিজ্ঞ আদালতে বিনীত প্রার্থনা এই যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদীর নালিশ গ্রহণ করত: আসামীগণের কৃত অপরাধ দন্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/ ১৪৮/৩২৫/৩২৬/ ৩০৭/৩৮৪/৫০৬/১০৯/৩৪ ধারায় আমলে লইয়া সংশ্লিষ্ট থানাকে এফআইআর হিসাবে গ্রহনের আদেশ দানে বিজ্ঞ আদালতের সদয় মর্জি হয়।
এবিষয়ে ধানমন্ডি থানা থেকে জানা যায়, আদালত হতে নির্দেশনা এসেছে এবং দ্রূত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :