সিরাজুল ইসলাম পলাশ : উজানের পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও দুপুরে কমতে শুরু করে। সৃষ্ঠ বন্যায় তলিয়ে গেছে লালমনিরহাট সান্তাহার রেলরুটের অর্ধকিলোমিটার পথ। রোববার(২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বন্যার পানিতে ডুবে থাকা রেল লাইন সংস্কার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রোববার( ২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৯৫ মিটার। যা বিপদ সীমার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) ২০সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে সকাল ৬টায় বিপদসীমার ২সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, শনিবার দুপুর থেকে বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে। রোববার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরবর্তিতে দুপুর নাগাদ কমে বিপদসীমার নিচে নেমে আসে পানি প্রবাহ। সন্ধ্যায় বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ডালিয়া পয়েন্টে। ফলে বামতীরের জেলা লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার পরিবার। প্রতিমুহুর্তে বাড়ছে এর সংখ্যা। আতংকিত হয়ে পড়ে তিস্তাপাড়ের মানুষ।
পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাট সান্তাহার রেলরুটের লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর এলাকায় অর্ধকিলোমিটার রেলপথ ডুবে যায়। এ সময় পানির স্রোতে ভেসে যায় রেল লাইনের পাথর। ফলে দিনভর ঝুঁকি নিয়ে ধীর গতিতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একই সাথে জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা হয় রেল লাইন। আপাতত রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, বন্যা কবলিতদের জন্য ১৩ লাখ টাকা ও ৯০ মেঃটন জিআর চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। আজকে স্বল্প পরিসরে বিতরন শুরু করেছি। সোমবার সকলের কাছে পৌছে যাবে ত্রাণ। বন্যা বাড়লে তা মোকাবেলা করতে জেলা উপজেলা প্রশাসন আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :