রাজশাহী প্রতিনিধি : নওগাঁ মান্দা উপজেলার জেলার বৃহত্তর পশুর সুতিহাট। সুতিহাটে সব ধরনের গরুর আমদানী থাকলেও মাঝারি সাইজের গরু ও ছাগলের বেচাকেনায় জমে উঠে পশুর হাট। এই সুযোগে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে ইজারাদাররা। মুখ খুললেই ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতাবিক্রেতারা। এমনকি অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের চিত্র গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে চাইলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা।
গত বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সুতিহাটে বসে পশুর হাট। প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের চিত্র। তবে খাজনা আদায়ে সরকারি কোন নির্দেশনাই তোয়াক্কা করছেনা হাট ইজারাদার। গরু প্রতি খাজনা নেওয়া হচ্ছে ৭০০, প্রতিটি ছাগলের খাজনা ৫০০ টাকা। ক্রেতা- বিক্রেতা প্রতিবাদ করলেও অনেকটা জোর জুলুম করেই আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত খাজনা। তবে খাজনার টাকা নিলেও রশিদে লেখা হচ্ছে না টাকার পরিমাণ। এতে করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাটে আসা ক্রেতা- বিক্রেতা। তবে প্রশাসন দুই একটি অভিযানের মাধ্যমে জরিমানা করলেও সেটি দৃষ্টান্তমূলক না হওয়ায় কোন কিছু তোয়াক্কায় করছেনা হাট মালিক পক্ষ।
কৃষক ও খামারিদের দাবী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান না করলে তাদের থামানো যাবেনা। অবিলম্বে অবৈধ এই খাজনা আদায় বন্ধ করা হোক।
ছাগল ক্রেতা নওগাঁর সুতিহাট এলাকার মকবুল হোসেন বলেন,আমি সুতিহাট থেকে একটি ছাগল কিনেছি। ঔ ছাগলের জন্য খাজনা বা টোল দিয়েছি ৫০০টাকা। তবে আদায়কারী খাজনা বাবদ ৫০০টাকা নিলেও খাজনা রশিদে কোন প্রকার টাকা লিখে দেননি।
লুৎফর নামের খাজনা আদায়কারী প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের যেই ভাবে ইজারাদার আদায় করতে বলেছেন সেই ভাবে আদায় করতেছি। কি ভাবে আদায় করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, লেখনি বাবদ ১০০টাকা ও গরু-মহিষ ৭০০ টাকা ও ছাগল ক্রেতার কাছে ৫০০ টাকা ও বিক্রয়কারীর কাছে ১০০ টাকা নিচ্ছি। টোলের টাকা রশিদে উল্লেখ নেই জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি কার অনুমতি নিয়ে হাটে ঢুকেছেন, ছবি তোলার পারমিশন কার কাছ থেকে নিয়েছেন। আপনি এই মুহূর্তে হাট থেকে বেরিয়ে যান তা না হলে ধোলাই দিয়ে চাঁদাবাজ সাজিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেব।
সুতিহাট ইজারাদার লুৎফর রহমান বলেন, এমন আচরণ করার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে তিনি জানান, ইতি পূর্বে যেই ভাবে গরু ছাগলের খাজনার টাকা ৭০০ টাকা করে আদায় করা হতো সেই ভাবেই এবারও খাজনা আদায় করা হচ্ছে। তবে তিনি স্বীকার করে বলেন সারা বাংলাদেশের পশুর হাট গুলোতে যেই ভাবে খাজনা আদায় করা হচ্ছে সেই ভাবে আমরাও সেই খাজনা আদায় করছি। ছাগলের খাজনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খাজনা ৫০০টাকা নয় ২০০টাকা করে আদায় করা হয়।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা বলেন, আসলে তাদের আচরণ খারাপ আমি দ্রুত ব্যবস্হা নিচ্ছি। তবে হাটে খাজনার চার্ট টাঙানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি হাটে জরিমানা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া আছে নিজ নিজ উপজেলার হাটগুলোতে নজরদারী বাড়ানোর জন্য।
এ বিষয় নিয়ে মন্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা আনজুমকে একাধিক বার দিলে তিনি ফোন কেটে দেওয়ার কারনে তার সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :