রাজশাহী প্রতিনিধি : বিএনপির চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে গত বুধবার (৩ জুলাই) সকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সমাবেশ ছিল। নাটোরে জেলার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু সমাবেশে যোগ দেন। সে সময় সমাবেশে যোগ দেয়ায় কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনায় মামলায় প্রধান আসামিসহ নয় জনের জামিন নামঞ্জুর করে রোববার জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
এদিন (৭ জুলাই) দুপুর ২টার সময় জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে ১৪ আসামি হাজির হন।
পরে আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. রওশন আলম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কোয়েল সহ নয়জনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকী পাঁচ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে আহত বাচ্চুর স্ত্রী পারভীন ইসলাম বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেন।
আসামিরা হলেন- মো. রাসেদুল ইসলাম কোয়েল, কানন, রিদয়, সেলিম, সজিব, জনি, প্রিন্স, মোহন, মাহাতাব।
উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে গত বুধবার (৩ জুলাই) সকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সমাবেশ ছিল।
সমাবেশে যোগ দিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু তার বাসা থেকে আসছিলেন। এসময় শহরের সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এলে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। এতে তার পা-হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া হয়। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠানে আসা প্রধান অতিথি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক সাব্বির হোসেন চপল, জেলা শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিটলুসহ ছয়জনের ওপর হামলা করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :