বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারার নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম রফিকের বিরুদ্ধে মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। থানায় মামলা দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মো. নরুল ইসলাম।
জানা গেছে শনিবার (১৮ এপ্রিল) মাছ লুটের অভিযোগ এনে একই ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মাছচাষী মো. নরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনকে এ অভিযুক্ত করে আরও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চন্ডিপুর গ্রামের মো. আব্দুল গফুরের ছেলে মাছচাষী মো. নরুল ইসলাম। মামলার বাদী মো. নরুল ইসলাম বসতবাড়ির কাছে মাদিলা ও নরদাশ মৌজায় নিজ নামীয় ও লিজকৃত বিশ বিঘা (২০) জমিতে থাকা পুকুরে সেই দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। পুকুর দেখা শোনার জন্য একজন পাহারাদার ও নিয়োগ করে রাখেন।
গত ১৮ এপ্রিল প্রতিদিনের ন্যায় রাতে পুকুর পাহারা দিয়ে পাহারাদার ভোর ৫টায় বাড়ি যান। ভোর সাড়ে ৫টায় রফিকুল ইসলাম রফিকসহ তাঁর নেতৃত্বে ১০/২০ জন লোক দেশীয়ও অস্ত্রসহ ওই পুকুর থেকে চাষকৃত মাছ লুট করে নিয়ে যায়। মাছ ধরার সময় পুকুরের পাশে থাকা মোসা. রেহেনা বিবি (৪২) দেশীয় অস্ত্র সহ মাছ লুট দেখে চিৎকার দিলে নরুল ইসলাম তার পুকুর পাড়ে আসলে রফিক ও তার লোকজন মাছ লুট করে অস্ত্রের মহড়া দেখিয়ে ২০ মণের মত মাছ লুট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মুল্য ২ লক্ষ টাকার মত।
এই ব্যাপারে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরিবন্দ সরকার বলেন, ঘটনা সত্যতায় একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :