সর্বশেষ :

কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন রেলওয়ের সাবেক যুগ্ম মহাপরিচালক


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৮, ২০২৪ । ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন রেলওয়ের সাবেক যুগ্ম মহাপরিচালক

মো. মানিক হোসেন : বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি দেয়ার কথা বলে ভূয়া নিয়োগ পত্র প্রদান করছেন সাবেক যুগ্ম-মহাপরিচালক (অর্থ) বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম।  অভিযোগ রয়েছে চাকরি দেয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার। তাঁর মিডিয়া হিসেবে কাজ করছেন কথিত মেজর তৌহিদুল ইসলাম শুভ, কথিত ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা পারভীন, কথিত বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন এবং রাজশাহীর শাহিন, রাঙ্গা, আলমগীরসহ এক চক্র।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এসব কথা জানান। সেই সাথে এমন ফাঁদ থেকে সমাজকে রক্ষা করতে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, সাবেক যুগ্ম-মহাপরিচালক (অর্থ) বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের এই চক্র বেকার যুবক-যুবতীদের বেকারত্বকে পুঁজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রতারক চক্রের সদস্য শাহিন, আলমগীর, কথিত ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা পারভীন বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন বাকি আসামি আত্মগোপনে রয়েছেন। প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় দুইটি মামলা চলমান রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নগরীর শাহমখদুম আবাসিকের ওয়াহিদ-উল আলমের ছেলে জাহিদ-উল আলম বলেন, গত বছরের ১৮ জুলাই বাংলাদেশ রেলওয়ে ভবনে আমি ও আমার পিতা সহকারে প্রতারক চক্রের সদস্য শাহীনসহ মো. নজরুল ইসলামের অফিস কক্ষে কথিত মেজর ও কথিত ম্যাজিস্ট্রেট শুভ দম্পতির সাথে পরিচয় হয়। আমার বোনের চাকরি বাবদ সকল প্রকার লেনদেন শুভ দম্পতিদের সাথেই হয়। আমাদের মত আরও অনেক ভুক্তভোগি রয়েছেন। যাদেরকে একই কথা বিভিন্ন সময়ে মো. নজরুল ইসলাম কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানতে পারি। প্রতারক চক্রের মূল হোতা মো. নজরুল ইসলামের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে চাকরি জাল জালিয়াতি করে নগদ অর্থ ও ব্যাংকের মাধ্যমে শুভ দম্পতি কে সঙ্গী করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

তিনি আরও বলেন, আমার বোনের ও শালোকের জন্য মোট ২০ লক্ষ টাকা, আরো ভুক্তভোগী সীমান্ত রহমান ৩০ লক্ষ টাকা, রোমান ইসলাম ২১ লক্ষ টাকা, শেখ আব্দুল্লাহ ও তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার নাম করে এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা, সাইমন রাজি সাম্মি ১৫ লক্ষ টাকা, মো. পলাশ ৭ লক্ষ টাকা, হাবিবুর রহমান সনি ৬.৫ লক্ষ টাকা, মোঃ রায়হান ১২ লক্ষ টাকা এবং রাজবাড়ী, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, খুলনা জেলা থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে।

সবশেষে এমন ঘৃণ্য অপরাধ চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

পুরোনো সংখ্যা

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
%d bloggers like this: