সম্পর্ক উগরাতেও পারছেন না, আবার গিলতেও পারছেন না! ভেবেছিলেন স্বামীর সঙ্গে সারা জীবন সম্পর্কের সমীকরণ একই থাকবে। বন্ধুবান্ধব, পরিবার, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে সুখে-স্বাচ্ছন্দেই কাটিয়ে দেবেন বাকিটা জীবন।
কিন্তু অদৃষ্টে যদি অশান্তি থাকে, তবে কী-ই বা উপায়? এমনিতেই ব্যস্তজীবনে এখন সম্পর্কের বোঝাপড়ার সমীকরণ বদলেছে। এদিকে অফিসের চাপ, আরেকদিকে বাড়িতে সঙ্গীর অবুঝ, অবহেলিত আচরণ আপনাকে অতিষ্ট করে তুলেছে? যার জেরে সংসারে অশান্তির আগুন জ্বলছে নিত্যদিন?
এমন পরিস্থিতি হলে কিন্তু অচিরেই ভেঙে যেতে পারে সম্পর্ক। তার থেকে বরং সমাধানের দিকে মন দিন। সমস্যা যেখানে সেখানে সমাধানের উপায়ও রয়েছে। সঙ্গীকে নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে কিংবা সংসারে শান্তি ফেরাতে এই ৫টি টিপস মাথায় রাখতে পারেন।
১. সমস্যার উৎসস্থান খুঁজে বের করুন– প্রথমে ভেবে দেখুন আপনার ব্যবহার কিংবা আচরণেই কোনও গাফলতি নেই তো, যার জন্য সঙ্গী এরকম করছেন? আপনার উত্তর যদি ‘না’ হয়, তাহলে নিজের টিপসগুলো কাজে লাগাতে পারেন।
২. মন খুলে কথা বলুন — স্বামীকে বোঝান আপনার সমস্যা কোথায় হচ্ছে। কেন সংসারে নিত্যদিন অশান্তি হচ্ছে? তাঁর হাতে যদি কথা বলার মতো সময় না থাকে দিন দুয়েক ধৈর্য ধরুন। একটা সময় ঠিক করে এই আলোচনা সারুন। সেই সময়ে হাতের ফোন দূরে রাখুন দুজনেই।
৩. প্রিয়জনের পরামর্শ নিন– ক্রমাগত স্বামীর অবহেলা কিংবা বিশ্রী আচরণ সহ্য করতে থাকলে আপনাকে অবসাদ গ্রাস করতে পারে। এইসময়ে নিজেকে একা ভাবলে চলবে না। গুটিয়ে ফেলবেন না নিজেকে।
এমন কোনও মানুষের সঙ্গে আপনার সমস্যা শেয়ার করুন যিনি আপনাকে ভাল করে বোঝেন বা আপনার কাছে যিনি বিশ্বস্ত। তিনি অন্তত আপনার খারাপ চাইবেন না। হতে পারে আপনার মা-বাবা, ভাই-বোন কিংবা শ্বশুরবাড়ির দিকের কেউও। তবে পরামর্শ নেওয়াটা জরুরী। আপনার ধারণা পরিষ্কার হতে পারে।
৪. সম্পর্কে রোম্যান্টিক টুইস্ট আনুন– হতেই পারে আপনি হয়তো ব্যস্ততার জন্য জীবনে রোম্যান্টিসিজম ভুলে গিয়েছেন। সঙ্গীকে বলুন কাজের ফাঁকে একটু সময় বের করে নিজেদের মতো করে কাটাতে। প্রয়োজনে সম্পর্কের প্রথম দিনে যেভাবে দুষ্টু-মিষ্টিভাবে ফ্লার্ট করতেন, সেটাও চলতে পারে।
তাঁর পছন্দের রান্না করে সারপ্রাইজ দিন। আর ভাল ব্যবহারে ঘাড়ে চেপে বসলে দিন কয়েক কোনওকিছুর প্রতিক্রিয়া দেবেন না। চুপ করে যান। ‘সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট’ পন্থা অবলম্বন করুন। আপনাকে চুপ থাকতে দেখে অপর দিকের মানুষটির টনক নড়তে পারে।
৫. নিজেকে ভালবাসুন– প্রত্যেকটা মানুষের উচিত অপরের খেয়াল রাখার পাশাপাশি নিজেকে ভালবাসা। অন্যের কাছে প্রত্যাশা কমিয়ে নিজেই নিজের ইচ্ছেপূরণ করার চেষ্টা করুন।
মনে রাখবেন, যিনি একা চলার সাহস রাখেন, তিনি সমস্তরকম আবেগ-অনুভূতিজনিত সমস্যা কাটিয়ে জীবনে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারেন। তাই নিজের স্বাদ-আহ্লাদের খেয়াল নিজে রাখা শুরু করুন আজ থেকেই।
আপনার মতামত লিখুন :