চীনের অর্থনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের লক্ষ্য নিয়ে জি-৭ নেতারা বৃহস্পতিবার জাপানের হিরোশিমায় পৌঁছেছেন। সম্মেলনটি যুদ্ধের ভয়াবহ পরণতির কথা স্মরণ করবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তার নিজ শহর হিরোশিমায় অপর ছয়টি ধনী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নেতাদের আতিথেয়তা করবেন। পারমাণবিক ধ্বংসস্তুপের শহরটি এখন শান্তিস্তম্ভ নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর এএফপি’র।
তিন দিনের সম্মেলনে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্যান্য নেতারা রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে ঐক্যফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা করবেন।
বাখমুত এবং অন্যান্য ফ্রন্টলাইন শহরে দীর্ঘ শীতকালীন যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক পরিণতির পটভূমিতে শুরু জি-৭ সম্মেলনে আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকবে ইউক্রেনে রাশিয়ার ১৫ মাসের আগ্রাসন।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় সহায়তার জন্য যথেষ্ট অস্ত্র সরবরাহ করলেও কিয়েভ বাহিনীর একটি দীর্ঘ-প্রত্যাশিত বসন্ত পাল্টা হামলা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে এই গ্রুপকে সম্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সুলিভান বলেন, নেতারা রাশিয়াকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আরও নিবৃত্ত করার দিকে মনোনিবেশ করবেন। আলোচনা রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা আরো কঠোর করবে। সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, রাশিয়ার অর্থনীতি গত তিনমাসে আরো ১.৯ শতাংশ সংকুচিত করেছে।
আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে জি-৭ ইতোমধ্যেই প্রায় ৪৩ শতাংশ রাজস্ব হ্রাস পাওয়া রুশ পেট্রোলিয়াম পণ্যের মূল্যসীমা গ্রহণ করেছে। তবে সুলিভান ইঙ্গিত দেন, প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ প্রচেষ্টার অর্থায়নে সহায়তা করতে পারে এমন ফাঁকগুলি বন্ধ করার দিকে নেতারা নজর দিতে পারেন।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এবং জি-৭ সম্মিলিতভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পদক্ষেপগুলি নিয়েও আলোচনা করবে। প্রয়োগকারী সমস্যাকে কেন্দ্র করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ জি-৭ বিবৃতির সাথে যুক্ত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :