মোঃ মানিক হোসেন :
দেশে ফিরে জনগণের ভালোবাসা নিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই পথচলা মসৃন ছিল না। তিনি দেশে ফিরে ক্ষমতা এসে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন করেছেন, তার সবকিছুই আপনাদের সামনে দৃশ্যমান। শেখ হাসিনা স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের আলোকবর্তিতা, লাইটহাউজ। তখন থেকে এখন পর্যন্ত স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তি তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
বুধবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে রাজশাহী মহানগর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এরআগে দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৭ মে) সকাল ১১টায় দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সিএন্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে পৃথকভাবে আরেকবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেখান থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি নগরী বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এরপরে দিবসটি উপলক্ষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার সহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন উলামা কল্যান পরিষদ, রাজশাহীর সাবেক সভাপতি মাওলানা আইয়ুব আলী।
আলোচনা সভায় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে জনগণের ভালোবাসা নিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। সেই পথচলা মসৃন ছিল না। তিনি দেশে ফিরে ক্ষমতা এসে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন করেছেন, তার সবকিছুই আপনাদের সামনে দৃশ্যমান। শেখ হাসিনা স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের আলোকবর্তিতা, লাইটহাউজ। তখন থেকে এখন পর্যন্ত স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তি তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। শেখ হাসিনা যদি না আসতেন, তাহলে আজকে যে পদ্মা সেতু আমরা দেখছি, সেটি কোন শাসকের মাথায় চিন্তাই আসতো না। তিনি না আসলে কর্ণফুলী টানেল, পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সারাদেশে ছয়লেন, চারলেন রাস্তা সহ যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং আরো হচ্ছে -এসবের কিছুই হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি।
আলোচনা সভায় ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীদের ব্যাপারে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রাসিক মেয়র বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না। আগামী ২১ জুন সেটি আমরা দেখিয়ে দেব। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমরা মেয়র পদ সহ অধিকাংশ কাউন্সিলর পদ প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই। যাতে আমরা উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে পারি।
রাসিক মেয়র আরও বলেন, শেখ হাসিনা ছিলেন বলেই রাজশাহী শহরের জন্য ২৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। সেই অর্থ দিয়ে রাজশাহীতে ব্যাপক উন্নয়ন করা হচ্ছে। পরিচ্ছন্ন, সুন্দর ও বাসযোগ্য শহর হিসেবে রাজশাহীর সুনাম দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। আগামীতে রাজশাহীকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালমা রেজা, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম। সভা সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন ও আহসানুল হক পিন্টু।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাবুল, নাঈমুল হুদা রানা, দপ্তর সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম বুলবুল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যাম দত্ত, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, শ্রম সম্পাদক আব্দুল সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, কোষাধ্যক্ষ এবিএম হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য শাহাব উদ্দিন, এ্যাড. শামসুন্নাহার মুক্তি, সদস্য ও মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, সদস্য ও রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবু, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, মোখলেছুর রহমান কচি, ইউনুস আলী, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু,মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাচ্চু, মহানগর কৃষক লীগের সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন বাবু, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, মহানগর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. মনন কান্তি দাস, সাধারণ সম্পাদক ডা. ইমরান হোসেন, রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
আপনার মতামত লিখুন :