বাগমারা বীরকয়া গ্রামে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মোঃ মানিক হোসেন, রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি :

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বীরকয়া গ্রামে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) গ্রামের মাদ্রাসা মাঠে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নিয়ে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ জন্য দোয়া ও উপস্থিতিদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়।

উপস্থিতিদের নিয়ে সভাপতিত্ব করেন বাগমারা ৭নং বাসুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফর রহমান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বীরকয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান সহকারী শিক্ষক মোঃ বেলাল উদ্দিন। ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নূরুল ইসলামের আহ্বানে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বীরকয়া গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগমারা ৭নং বাসুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রীপুর রামনগর ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল বারিক, বাগমারা ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ সৈয়দ আলী।

ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে মুসল্লিদের উপস্থিতি বেশ লক্ষনীয় ছিল। বীরকয়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালেয়র প্রধান শিক্ষক মোঃ রফাতুল্ল্যাহ প্রামাণিক বলেন,আসুন আমরা হিংসা বিদ্বেষ ভুলে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় মহান আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে মানবতার সেবায় যাকাত দিয়ে ও সালাত আদায় করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করি।

এবং প্রত্যেক মানুষকে আল্লাহ সুযোগ দিয়েছেন। মাগফেরাত, রহমত, নাজাতের মাসে মহান রাব্বুল আলামিন ফজিলত পূর্ণ সময়ে অফুরন্ত সুযোগ প্রদান করেছেন । ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা এবাদত বন্দেগীর মধ্য দিয়ে এই মাস পালন করেন। আমরা দোজাহানের শ্রেষ্ঠ বীর হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু ওয়ালাহে সাল্লাম এর উম্মত। সেই প্রিয় নবীর জীবন আদর্শ সমগ্র বিশ্ববাসী কে অনুপ্রাণিত করেছে আলামিন নামে আখ্যায়িত হয়ে যান।

আর এরই ধারাবাহিকতায় সকল মানুষের মঙ্গল কামনয় ও মৃত মানুষদের আত্মার মাগফিরাতের কামনায় মহান আল্লাহর কাছে আমরা প্রার্থনা করে থাকি। সেই সাথে পবিত্র মাহে রমজানে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সকল মানুষের পাপ মুক্তির জন্য আবেদন জানিয়ে থাকি। তবে, এবছর এমন মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করায় বীরকয়ার মুসল্লীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

মোঃ আবু সায়েম বাপ্পী নামের একজন জানান, এই প্রথম বার বীরকয়ায় এত বড় করে ইফতার আয়োজন করা হয়েছে। এতে গ্রামের সবাই অত্যন্ত আনন্দিত এবং এভাবেই প্রতিবছর ইফতার আয়োজন করা হোক যাতে পরের প্রজন্মরাও গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ হয়। এই প্রত্যাশা রেখে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।