হিরণ অভিযোগ করেছিলেন, ধৃত এনামুল হকের থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ। মালদ্বীপ থেকে ফিরে এসে তারই জবাব দিলেন দেব।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দেবকে চাঁছাছোলা আক্রমণ করেন বিজেপির বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল হকের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ। দেবের সঙ্গে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ এবং অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ আনেন হিরণ।
বলেছিলেন, ‘‘টলিউডের ৯৯ শতাংশ প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা দুর্নীতিগ্রস্ত।’’ সেই সময় মলদ্বীপ ভ্রমণে যান দেব। তাই তখন দেবের উত্তর পাওয়া যায়নি। সদ্য দেশে ফিরেছেন অভিনেতা। ফিরে এক অনুষ্ঠানের হিরণের আনা অভিযোগের পাল্টা উত্তর দিলেন ঘাটালের তারকা সাংসদ। এবিপি আনন্দকে দেব বলেন, ‘‘তথ্যপ্রমাণ থাকলে সিবিআই, ইডির কাছে যান। গোয়েন্দাদের কাছে এত তথ্য নেই, যা হিরণের কাছে আছে।’’
দেবের সংযোজন, ‘‘হিরণ বা অন্য কেউ কী বলছে সেটা সত্যিই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এক কথা কেন দশবার করে বলতে যাব? প্রথম দিন যখন প্রশ্ন করেছিলেন, তখনই উত্তর দিয়ে দিয়েছি। বারবার এক প্রশ্ন করলে একই উত্তর থাকবে।’’
দেব জানান, কে কী বলছে সে সবের খুব বেশি গুরুত্ব নেই তাঁর কাছে। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও দেবের বিরুদ্ধে হিরণ দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন বলে উল্লেখ করেন। দেব জানান, তিনি তাঁর আয়ের সমস্ত হিসাব দিতে রাজি। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ সমীচীন নয়। বরাবরই সৌজন্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী দেব। তবু তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে বিভিন্ন সময়, তবু নিজের সৌজন্যবোধ খোয়াননি। বলেন, ‘‘হিরণ ভাল ছেলে। আমার মনে হয় বাক্স্বাধীনতার অধিকার সকলের আছে। এই দেশে, এই রাজ্যে যে যা খুশি বলতে পারে।’’
শুধু দেব বা সায়নী, বনি নন, হিরণের নিশানায় উঠে এসেছে টলিউডের একটা বড় অংশ। এক সময় যে প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করেছেন, তার কর্ণধারকেও আক্রমণ করেন। হিরণ বলেছিলেন, ‘‘শ্রীকান্ত মোহতা কোটি কোটি টাকা লুট করেছে। চুরি করেছে। জেলও খেটেছে দু’বছর। টলিউড ইন্ডাস্ট্রির ৯৯ শতাংশ প্রোডিউসার (প্রযোজক), ডিরেক্টর (পরিচালক) এবং অভিনেতা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে চোরেদের সরকারের সঙ্গে যুক্ত। সে সুপারস্টার, মেগাস্টার হোন বা ছোটখাটো অভিনেতা।’’
আপঅ
আপনার মতামত লিখুন :