দেশের সাইবার নিরাপত্তায় উদীয়মান তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম
সভাপতি মোঃ ইউসুফ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক জি এম রোকনউদ্দীন রায়েদ আকন
গোদাগাড়ীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উপজেলা কমিটি গঠন
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া- দুর্গাপুর) আসনে জামায়াতের বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা
কোচিংয়ে অগ্রিম কোর্স ফি বাতিল ও মাসিক বেতন নির্ধারণসহ ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন
মানবতার আলোকবর্তিকা ডি এ পারভেজ — ন্যায় ও মানবাধিকারের অগ্রযাত্রী
রাজশাহীতে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
খুলনায় দৈনিক ভোরের দর্পণ অফিসে চুরি, নগদ অর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লোপাট
গাজীপুরে রিভেরি রিসোর্টে অবাধে চলছে নারী ব্যবসা, মাদক ও জুয়ার আসর — এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও রিসোর্ট বন্ধের দাবি
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফা দাবিতে দুর্গাপুরে লিফলেট বিতরণ

মোঃ মানিক হোসেন, রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান :
রাজশাহীর নওদাপাড়ায় কাউসার নামের এক ব্যক্তির ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় আহত হয়ে মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নেন কাউসার। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি পেতে নগরীর শাহ মখদুম থানায় অভিযোগ করেছেন কাউসার।
পূর্ব দিনের ঘটে যাওয়া ঘটনার জের ধরে শুক্রবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে তিনজন মিলে কাউসারের ওপর হামলা চালায় বলে জানা গেছে।
এঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন বোয়ালিয়া থানাধীন হেতেম খাঁ এলাকার মৃত মনু মিয়ার ছেলে মিলন(৩৮), মধ্য নওদাপাড়ার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৬), চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানাধীন মনকষা এলাকার নাসারুল ইসলাম (৪২)।
অভিযোগকারী হলেন শাহমখদুম থানাধীন উত্তর নওদাপাড়া (হাজীপাড়া) এলাকার আব্দুস সোবাহানের ছেলে কাউসার রহমান(৩৫)।
ভুক্তভোগী কাউসার জানান, বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টায় আমচত্বর মোড়ে চায়ের দোকানে আমি চা খাওয়ার জন্য যাই। তখন শহিদুল আমাকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আমার সাথে কিছু কথা কাটাকাটি হয়।
ওই ঘটনার জের ধরে পরের দিন মিলন ফোন করে আমচত্বর মোড় সনি এন্টারপ্রাইজের সামনে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। আমি সেখানে পৌঁছাতেই শহিদুল আমার পিছন থেকে এসে তার হাতে থাকা জিআই পাইপ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় আঘাত করলে আমার মাথায় মারাত্নক গুরুত্বর রক্তাক্ত ফাটা জখম হয়। মিলন হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার ডান হাতে আঘাত করে হাড় ভাঙ্গা জখম করে। তারপর আমি মাটিতে পড়ে গেলে সকল বিবাদীরা আমাকে এলোপাথাড়ী মারপিট করে। মারপিটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলাফোলা জখম করে।
ওই সময় শহিদুল আমার প্যান্টের পিছন পকেট থাকে ৩২ হাজার সুযোগ বুঝে চুরি করে নেয় এবং আমার কাছে থাকা মোবাইল ফোন প্রায় ১৫হাজার টাকার ক্ষতিসাধান করে।
তারপর আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সাগর ও মোস্তফা নামের দুজন লোক আমাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে। আমার মাথার ফাঁটা স্থানে পাঁচটি শেলাই ও ডান হাতে প্লাস্টার করতে হয়েছে। আমি নিরাপত্তা চাই আমার ও পরিবারের এবং আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে শাহ মখদুম থানায় যোগাযোগ করা ওই অভিযোগের দায়িত্বে থাকা অফিসার জাহিদ জানান, আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামীদের ধরার চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :