তরকারির বাজারেও আগুন!


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : মার্চ ৭, ২০২৩ । ৩:০৯ অপরাহ্ণ
তরকারির বাজারেও আগুন!

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা :

শবে বরাত উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য দাম বৃদ্ধির কারণে খালি ব্যাগ নিয়ে বাসায় ফিরছে ক্রেতারা
কাঁচা বাজারে ঢুকার আগেই এখন চিন্তিত ক্রেতারা সাধারণত। বিক্রেতারাও হিমসিম খাচ্ছে ব্যবসা করতে সকালের বাজার দরের সাথে মিলছেনা বিকেল কিংবা রাতের বাজার দর।ফলে প্রতি মুহূর্তে চলছে ক্রেতা আর বিক্রেতার দর কষাকষি।

এখন দু-চার পদ শাক সবজি কিনতেই খরচ হয় ২০০/৩০০ টাকার ওপরে,তা-ও আবার সপ্তাহ পার হয় না।এক সপ্তাহের মাছ আর সবজির চাহিদা মেটানোর জন্য ১ হাজার টাকাও সম্ভব হচ্ছেনা তবুও প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম।এই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর সাধারণ মানুষের কপালে।আর তো এখন মাছ-মাংস ক্রয়ক্ষমতার বাইরে বলে মনে করছে তারা।

কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়,শীতের মৌসুমেও যেকোনও এক প্রকারের শাখ সবজি ২০/৩০ টাকা কিনতে হচ্ছে ক্রেতাকে। মাছ কিনতে নিম্নে ২৫০ টাকা লাগছে।এক দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর মাংসের দোকান তো এড়িয়েই চলছেন ক্রেতারা।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়,প্রতি কেজি টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা,বেগুন ৪০ থেকে ৫০,মুলা ২০,শিম ৪০থেকে ৫০,কাঁচা পেঁপে ৪০, মিষ্টিকুমড়া কেজি ৪০,করলা ২০০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা; ফুলকপি ২০টাকা পিস,বাঁধাকপি ৪০ টাকা পিস ও লাউ ৫০ টাকা পিস।কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগিতে বেড়েছে ৬০ টাকা এ ছাড়া কেজিপ্রতি আলু ২৫/৩০ টাকা,পেঁয়াজ ২৫,রসুন মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ ও আদা ১০০ টাকা।বাজারে শাকের দামও বেড়েছে,আবার কমেছে পরিমাণ। চিকন লালশাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০,লাউশাক ৩০ ও ডাঁটাশাক ১৫ টাকা আঁটি।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির ও তার ডিম এখন আলোচনার তুঙ্গে। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে এখন ২২০ টাকা,কয়েক দিন আগেও যা মিলতো ২০০ টাকায়। লাল ব্রয়লার ২৮০ টাকা কেজি,দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে এখন ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা। মুরগির ডিমের বাজারেও অস্থিরতা দিনের ব্যবধানে দাম বাড়ছে। এখন ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১৪০ টাকা।

মাংসের চাহিদা মাছে মেটানোও দায় হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। মাছ কিনতে নিম্নে কেজিপ্রতি ২৫০/৩০০ টাকা করে গুনতে হচ্ছে। কেজিপ্রতি তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কাতলা ও রুই ২৫০ থেকে ৩৪০, কালোবাউশ ২৫০,পোয়া ১২০ থেকে ১৫০,বড় বোয়াল ১০০০,সাগরের সুরমা ২০০,ইলিশ ৭০০ গ্রাম আকারভেদে ৫০০ থেকে ৬০০,টাকি ৩০০,শোল ৫০০ থেকে ৬০০, বড় চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০; টেংরা ছোট ২৪০,বড় ৬০০; বাইম ৪৫০ থেকে ৫০০ ও কাচকি ২৪০ টাকা।গত কয়েক দিন ধরে বাজারের সবচেয়ে ভিড় কম মাংসের দোকান গুলোতে।দীর্ঘদিন থেকেই প্রতিকেজি গরু বা মহিষের মাংসের কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা।

কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগিতে বেড়েছে ৬০ টাকা এ ছাড়া চাল-ডালের দোকান ঘুরে দেখা যায়, ২৮-‘এ’চাল ৬০ টাকা কেজি,পাইজাম ৫৫ টাকা কেজি ও গুটি বা মোটা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি,মিনিকেট ৭২টাকা কেজি। মসুর ডাল ১০০ টাকা,মুগডাল ১৬০,খেসারি ডাল ১০০ ও বুটের ডাল ৮০ টাকা কেজি। প্রতিনিয়তই বাজারের খরচ বাড়ায় ক্রেতারা এখন কৌশলী ভূমিকা পালন করছেন। টাকা গুনে বাজার করছেন তারা।

তাতে সব না মিললেও আপাতত চলার মতো জিনিসপত্র কিনছেন।নিউমার্কেট বাজারে আসা ফজলুল হক ফুয়াদ জানান-‘বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। আমরা বড়রা বুঝলেও ঘরের বাচ্চারা তো আর বোঝে না।

তারা প্রতিদিনই ভালো-মন্দ খেতে চায়। তাও সবদিক বিবেচনা করেই বাজার করতে হচ্ছে।হাজার টাকার কম বাজারে আসা যায় না মন্তব্য করে ক্রেতা ফরিদুল ইসলাম বলেন,‘বছর তিনেক আগেও ৫০০ টাকায় মোটামুটি সপ্তাহের বাজার করা যেতো। এখন সেটা হাজারে ঠেকেছে। তাও সপ্তাহ পার হয় না। মাসের শুরুতে এক বস্তা চাল কিনে রাখি বলে সারা মাস টুকিটাকি বাজার-সদাই করে পার করি।

এখন যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে,পরে কী হয় তা বলা মুশকিল।বাজারে স্বস্তি আসবে,এমন ভাবনা এখন আর ভাবেন না ক্রেতা মকবুল তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের বড় ব্যবসায়ী আর দায়িত্বশীলদের জন্য আজ বাজারের এই দশা। এখন আর মনে হয় না এই বাজার ঠিক হবে। যেই মুরগি ১৩০ টাকা ছিল,সেটা এখন ২২০ টাকার ওপরে। সবই তো আমাদের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে।

এখন যতদিন ওপরওয়ালা খাওয়ান,ততদিন বেঁচে থাকবো।’ শুধু মকবুল নয় বাজারে আসা অনেক ক্রেতাই মনে করেন,সরকারের অব্যবস্থাপনা ও বড় ব্যবসায়ীদের অসততার কারণে বর্তমানে বাজারে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বে। তারা আশঙ্কা করছেন,এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন রমজান মাসে ভোগান্তি আরও বাড়বে।

পুরোনো সংখ্যা

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
%d bloggers like this: