মোঃ মানিক হোসেন, রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি :
রাজশাহী শাখার বেসিক ব্যাংকের ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত কর্মকর্তা তাসনুভা ফেরদৌসের অর্থ প্রতারণা, ব্যাংকের চেক বই জালিয়াতি ও তাঁর পোষা গুন্ডা বাহিনীর হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৪ মার্চ) বেলা ১টায় রাজশাহীর ভদ্রায় অতিথি হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী রাজশাহী মহানগরীর বালিয়াপুকুর এলাকার শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ মায়া বেগম।
মায়া বেগম গণমাধ্যমকে জানান, ব্যাংক কর্মকর্তা তাসনুভা ফেরদৌস ও তার স্বামী গোলাম জাকির দুজনেই সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে এই প্রতারণা করে। বর্তমানে তারা স্বামী-স্ত্রী বাসা হোল্ডিং নম্বার ২৯৯/১ রাজপাড়া থানার দাশপুকুর এলাকার বাসিন্দা। তারা স্বামী/স্ত্রী ভুক্তভোগী মায়া বেগমকে ধর্ম মা বানিয়ে মায়া বেগম ও তার স্বামী শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে তিনশত টাকার স্টাম্পে লেখা পড়া ও চেকের মাধ্যমে ৬৯লক্ষ ৩হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়াও প্রতারক তাসনুভা ফেরদৌস এর লক্ষীপুর মৌজা নং ৭নম্বর আর এস খতিয়ানে ৪৬২/১১/২০২১-২০২২ খারিজ কেসের আদেশ বলে প্রস্তাবিত ৭০৭৩ খতিয়ানের, ০৩১৬ একর সম্পত্তি ৬০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে চাইলে মায়া বেগম ১০লক্ষ টাকা বায়না দিয়ে তিন’শ টাকার স্টাম্পে বায়না নামা করেছেন। বায়নার মেয়াদ শেষ হলেও প্রতারক তাসনুভা ফেরদৌস ও তার স্বামী বিভিন্ন তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। চলতি বছরের গত ২৭ ফেব্রুয়ারী তাসনুভার সাথে কথা বলতে তার স্বামীর বন্ধগেটের সামনে দোকানে গেলে তারা স্বামী/স্ত্রী মিলে কয়েকজন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মায়া বেগম ও তার স্বামী শরিফুল ইসলামকে মারমুখী আচার-আচরণ ও টাকা চাইতে গেলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। শুধু মায়া বেগম ও স্বামী শরিফুল ইসলাম এর সাথে এই প্রতারক দম্পতি প্রতারনা করেনি নাহিদা নাসরিন নিলা নামে এক মেয়ের সাথে ৫৫লক্ষ ২০হাজার টাকার প্রতারনা করেছেন বলেও তিনি জানান।
মায়া বেগম আারও বলেন, এ ছাড়াও এই তাসনুভা ফেরদৌস বেসিক ব্যাংক এ কয়েকজনের হিসাব খুলিয়ে তাদের চেকবই গুলোও দিচ্ছেন না। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মায়া বেগম বেসিক ব্যাংকের হেড অফিসে অভিযোগও দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মায়া বেগম এই প্রতারক দম্পতিকে আইনের আওতায় আনার আবেদন জানিয়েছেন সরকার ও প্রশাসনের প্রতি।
প্রতারণার শিকার মায়া, শাহেলা, সুজন, বৃষ্টি ও শরিফুল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয় সম্পর্কে তাসনুভা ফেরদৌস জানান, মায়া বেগমের এটা একটা ফাঁদ। যতগুলো ভুক্তভোগী সবাই একই পরিবারের আত্মীয় স্বজন ও সদস্য। মায়া বেগমেরাই তাসনুভা ফেরদৌসকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। মায়া বেগমেরা তাসনুভা ফেরদৌসের স্বামী গোলাম জাকিরকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার হুমকি দিচ্ছেন এবং সন্ত্রাসী হামলা মায়া বেগমেরাই করেছেন এজন্য থানায় আইনের আশ্রয় নিয়েছেন তাসনুভা ও তাঁর স্বামী গোলাম জাকির বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :