আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে রোগীকে আঘাত করে অজ্ঞান, ঘটনার অনুসন্ধানে লাঞ্চিত নারী সাংবাদিক !


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ৮, ২০২৩ । ১০:৩৮ অপরাহ্ণ
আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে রোগীকে আঘাত করে অজ্ঞান, ঘটনার অনুসন্ধানে লাঞ্চিত নারী সাংবাদিক !

মোঃ মানিক হোসেন, রাজশাহী প্রতিনিধি :

রাজশাহী লক্ষ্মীপুর অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার সময় ডাক্তার রোগীকে আঘাত করে অজ্ঞান করেছে এমন ঘটনার অনুসন্ধানে সাংবাদিক গেলে লাঞ্চিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

রোববার (৮ জানুয়ারী) বেলা ২টায় রাজশাহী শহরের লক্ষ্মীপুর মোড়ে অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইউনিট ১ ( নতুন ভবন) এ কর্মচারীদের মাধ্যমে দৈনিক উপচার পত্রিকার নারী সাংবাদিক সোনিয়া খাতুনকে লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটে।

এদিন সন্ধ্যায় হাসপাতালের অভিযুক্ত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানা একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারী সাংবাদিক সোনিয়া খাতুন।

অভিযোগে দৈনিক উপচার পত্রিকার নারী সাংবাদিককে ইসলামী হাসপাতালের মার্কেটিং অফিসারসহ আরো ৪/৫ জন কর্মচারিরা শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছেন। সেই সাথে তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত শনিবারে (৭ জানুয়ারী) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কানসাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা তৈমুর নামের এক বৃদ্ধ রোগীকে মেরে আহত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

নারী সাংবাদিক সোনিয়া, পল্লী বার্তার রাজশাহী প্রতিনিধি হুমায়ুন কবীর ও দৈনিক উপচার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার নাইম হোসেন ঘটনা সুত্রে জানতে পারেন, ইসলামী হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাফি ডাক্তার হাসনাইন জুবেরী বৃদ্ধ রোগী তৈমুরকে আল্ট্রাসনো মেশিনের প্রোব দিয়ে কপালে আঘাত করায় কপাল রক্তাক্ত হয়। এই আঘাতে রোগী প্রায় আধা ঘন্টা বেহুশ অবস্থায় থাকে বলে জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা।

পরে তার জ্ঞান ফিরলে আল্ট্রাসনো রুম থেকে কপালে জখম সহ বের করেন তাঁরা। কপালের জখমের বিষয়ে ডাক্তার কোন কিছু না বলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে চলে যায়। তবে আল্টাসনো রুমের সহকারী নার্স বলেন ডাক্তার রেগে তার কপালে আঘাত করেছে। রোগীরা এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপারের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে চেঁপে যান।

পরদিন রোববার ওই ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হাসপাতালের কর্মরত কয়েকজন স্টাফ প্রথম থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছিলেন। সাংবাদিকদের সাথে রোগীকে সাথে নিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের ৪/৫ জন কর্মচারি একটা রুমে রোগীসহ রোগীর স্বজনদের ঢুকিয়ে নেন। এসময় সাংবাদিকদের জোর করে বের করে দেন এবং বলেন আগে আমরা রোগীর সাথে কথা বলব তারপর আপনাদেরকে জানানো হবে।

ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য সাংবাদিকরা প্রায় আধা ঘন্টার বেশি বাইরে অপেক্ষা করে এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন ঘটনার সমাধান হয়ে গেছে।

তবে, কি সমাধান হয়েছে এই প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদের চোখ রাঙ্গিয়ে কর্কশ ভাষায় কথা বলে এবং মহিলা সাংবাদিক সোনিয়াকে ধাক্কা দিয়ে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এমন ঘটনার জন্য উপস্থিত রাজশাহী সাংবাদিক সংগঠন অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মীর তোফায়েল হোসেন ও সাধারন সম্পাদক জাহিদ হাসান সাব্বির প্রতিবাদ জানালে হাসপাতালের মার্কেটিং অফিসার সহ অন্যান্য ৪/৫ প্রশাসনিক অফিসাররা হাসপাতাল সুপারের সাথে যোগাযোগ করতে বলে গড়িমসি করতে থাকে।

ঘটনার প্রায় আধা ঘন্টা পর হাসপাতাল সুপারের সাথে সাংবাদিকরা দেখা করে সঠিক সমাধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

নারী সাংবাদিককে লাঞ্চিত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রাজশাহী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মীর তোফায়েল হোসেন, সাধারন সম্পাদক জাহিদ হাসান সাব্বিরসহ ফোরামের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগের সভাপতি নুরে ইসলাম মিলনসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পুরোনো সংখ্যা

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
%d bloggers like this: