নুরে আলম পারভেজ, (দুবাই প্রতিনিধি):
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে প্রথমবারের মত শুরু হতে যাচ্ছে বইমেলা ও বঙ্গসাংস্কৃতি উৎসব। মেলার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই। তিন দিনব্যাপি বইমেলা শুরু হচ্ছে শুক্রবার (৪ নভেম্বর)। ইতোমধ্যেই মেলার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
আগামী ৪, ৫, ও ৬ নভেম্বর আরব আমিরাতের দুবাইতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে বইমেলা ও বঙ্গসাংস্কৃতি উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই বইমেলা নিয়ে বাংলাদেশের বইপাড়ায়ও শুরু হয়েছে তোরজোড়। মেলায় যেখানে ৫০টি স্টল বরাদ্দ রাখার কথা ছিল সেখানে চাহিদার কারণে স্টল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এখন ৭৩টি। মেলাটি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক কবি-সাহিত্যিকদের মিলন মেলায় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ইতিমধ্যে মেলার প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বৈচিত্রতা নিয়ে আসার জন্য একটি সৃজনশীল টিম অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। সাংস্কৃতিক আয়োজনকে মনমুগ্ধ করে তোলার জন্য বাংলাদেশি ও পশ্চিম বাংলার শিল্পীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন।
কনস্যুলেট সুত্রে জানা যায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য করে তোলার জন্য বইমেলা ছাড়াও আরও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই। এই দিন মেলায় প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি। মেলা উদ্বোধন করবেন প্রখ্যাত কবি ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কবি কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর।
সার্বিক বিষয়ে বি এম জামাল হোসেন বলেন, কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে এই প্রথম তিন দিনব্যাপি বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। বস্তুত, আমাদের উদ্দেশ্য মানসম্পন্ন লেখক তৈরি করা এবং পাঠক আগ্রহ সৃষ্টি করা। আমরা ইতোমধ্যে প্রবাসীদের থেকে সন্তোষজনক সাড়া পেয়েছি। বাংলাদেশ বইমেলা স্থায়ী প্রবর্ত্তন করা এবং আগামীতে এই মেলায় পরিসর আরও বাড়ানোর ও প্রতি বছর নভেম্বর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রস্তুতি সন্তোষজনক। সবকিছু ঠিক থাকলে কাল যথাসময়ে মেলার উদ্বোধন হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে বইমেলা প্রবাসীদের জন্য এক নতুন বার্তা। এই বইমেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ নানা কিছু বহিঃবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রকাশ পাবে সৃজনশীলতা। বিনিময় হবে একাধিক দেশের সংস্কৃতি।
তিনি আরও বলেন, বাঙালি বা বাংলাদেশি সংস্কৃতির বর্ণাঢ্য ইতিহাস প্রসঙ্গে জানতে পারবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোকজন। বাংলাদেশ এবং বাংলা ভাষার প্রতি প্রবাসী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়বে। সংযুক্ত আরব আমিরাতবাসীর মধ্যে সৃষ্টি হবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। আমাদের প্রত্যাশা এই বইমেলা সফল হোক, সাথে আমাদের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হোক।
আপনার মতামত লিখুন :