নিজস্ব ডেস্ক:
যাদের পায়ের জাদুতে বাংলাদেশের শিরোপার আক্ষেপ ঘুচেছে, যাদের হাত ধরে উৎসবের উপলক্ষ্য পেয়েছে গোটা দেশ, তাদেরই ঠাঁই হলো না বাফুফের সংবাদ সম্মেলন কক্ষের বেঞ্চে। সাফজয়ী অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে হলো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। চ্যাম্পিয়নদের কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন ছিলেন আরও পেছনে।
সংবাদ সম্মেলনে সবার মাঝে বসবেন প্রধান কোচ, পাশে অধিনায়ক। ফুটবলের যেকোনো পেশাদার সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই তো দেখা যায়। প্রিমিয়ার লিগ জয়ী পেপ গার্দিওলা এবং আফ্রিকার চ্যাম্পিয়ন আলিউ সিসেকেও ছাদখোলা বাস থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাঝখানে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেন তা উল্টা। সংগঠনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনই এদিন যেন সবার প্রাণকেন্দ্রে ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ বক্তৃতাও দিয়েছেন তিনি।
চেয়ারের মাঝখানে না হোক, পাশেও নেই! সাবিনা তো দূরের কথা, কোচকে রাখেনি সংশ্লিষ্টরা। ছোটন কথা বলবেন, মাইক্রোফোনটা তো টেবিলেই থাকার কথা। কিন্তু নিজেই যেখানে বসতে পারেননি, সেখানে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই কথা বলতে হলো সাফজয়ী কোচকে।
সালাহউদ্দিন ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের বক্তৃতার পর সাংবাদিকরা যখন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও দলের কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনকে প্রশ্ন করে, তখন তারা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই দেন। তবে সংবাদ সম্মেলনের শেষে অবশ্য বসার সুযোগ পেয়েছিলেন দুইজনই।
আপনার মতামত লিখুন :